সাভারের আশুলিয়ায় গলাকেটে ব্যবসায়ী ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার কাজিমুদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাতিজা আব্দুল লতিফকে আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। গেলো বুধবার সকালে ঢাকার আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় লিপি ডেইরী ফার্মের বিশ্রাম রুম থেকে ফার্মটির স্বত্বাধিকারী কাজিমুদ্দিনের (৫০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
র্যাব জানায়, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আবদুল লতিফ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে। লতিফ ভিকটিমের বড় ভাইয়ের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত লতিফের বাবা মৃত্যুবরণ করার পর থেকেই সে তার চাচাদের সাথে বসবাস করতো। গ্রেপ্তারকৃত লতিফের পৈত্রিক সম্পত্তি অংশীদারিত্ব নিয়ে ভিকটিম কাজিমুদ্দিন এর সাথে দীর্ঘ দিন যাবত বিরোধ চলছিল এবং প্রায় সময় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হতো।
র্যাব আরও জানায়, ঘটনার দিন দিবাগত রাতে ভিকটিমের ডেইরী ফার্মে এসে তার পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে কথা বললে ভিকটিমের সাথে হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত লতিফের বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে লতিফ উত্তেজিত হলে রুমে থাকা বটি নিয়ে ভিকটিমের গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করে। সিসি টিভির ফুটেজেও ভিকটিমের রুমে তাঁর ভাতিজার প্রবেশের প্রমাণ পাওয়া যায়।
র্যাবের এ মুখপাত্র জানান, পরবর্তীতে বুধবার সকালে ভিকটিমের স্ত্রী ফার্মে গিয়ে বিশ্রাম রুমের দরজা তালা দেয়া দেখে ধারণা করে যে, তার স্বামী ভিকটিম বাহিরে গিয়েছে। কিছুক্ষণ পরে ফার্মের কাজের লোক গরুর ঔষধ নেয়ার জন্য ভিকটিমের স্ত্রীর নিকট থেকে রুমের চাবি নিয়ে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলে ভিকটিমের গলাকাঁটা নিথর দেহ ঘরের বিছানার উপরে দেখতে পায়।
হত্যাকাণ্ডের পরে লতিফ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে সাভারের আশুলিয়া এলাকায় আত্মগোপন করে। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় র্যাব কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়।
প্রসঙ্গত, ভিকটিমের স্বজন ও স্থানীয়রা হত্যাকাণ্ডটিকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বলে ধারণা করলেও। র্যাবের দাবি সম্পত্তির জেরেই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়।