রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা এলাকা থেকে তিন সহযোগীসহ এক ধর্ষক গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। কেনাকাটার উদ্দেশ্যে বের হয়ে এক নারীর মোবাইল ফোন চুরি যায়। ভুক্তভোগী ওই নারীকে মোবাইল পাইয়ে দেয়ার কথা বলে একটি বাড়িতে নিয়ে যায় তারা। সেখানে সুযোগ বুঝে তাকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে গ্রেপ্তারকৃতরা।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার হেঁতেমখাঁ সবজিপাড়া এলাকার নরুল ইসলামের ছেলে আলমগির রয়েল (৪০), তার স্ত্রী হেলেনা খাতুন (৩০), হেলেনার বড় বোন দিলারা বেগম (৩৫) ও তাদের সহযোগী চন্দ্রিমা থানার ভদ্রা এলাকার আফজাল হোসেনের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪২)।
র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানান, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী নারী কেনাকাটার উদ্দেশ্যে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম কোর্ট স্টেশন এলাকায় যায়। সেখানে তার মোবাইল ফোন চুরি যায়। এসময় পূর্বপরিচিত হওয়ায় আলমগির সেই নারীকে মোবাইল পাইয়ে দেয়ার কথা বলে নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সুযোগ বুঝে তাকে ধর্ষণ করে।
র্যাব অধিনায়ক আরও জানান, ওই বাড়িতে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন, আলমগীরের স্ত্রী হেলেনা খাতুন, তাদের সহযোগী দিলারা বেগম ও মমতাজ বেগম। তারা গোপনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী নারীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। সেই সঙ্গে ওই নারীকে তারা আটকে রাখে।
ওই নারীর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে ব্যাবের একটি দল। এসময় ওই বাড়ি থেকে আলমগির ও তার স্ত্রী হেলেনাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলমগীরের বিরুদ্ধে আগেও নারী শিশু আইনে একটি মামলা আছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
এএম/