পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর থেকেই চলছে ভোটগণনা,সঙ্গে চলছে ফল প্রকাশ। জাতীয় পরিষদের ২৬৬ টি আসনের মধ্যে ২৬৫ টি আসনে প্রতিদ্বন্দিতা হচ্ছে। এর মধ্যে ১০০ টির বেশি আসনে ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। এতে এগিয়ে আছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছেন বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বিবিসি বলছে, নিয়ম অনুযায়ী আজ দুপুর ২ টার মধ্যে ফল প্রকাশ হওয়ার কথা। তবে সেটি সম্ভব না হওয়ায়, রাত ১০ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ফল ঘোষণার জন্য।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বলেছে, ফলাফল ঘোষণা করা ১০৬টি আসনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৪৭টি আসনে জিতেছে। এসব প্রার্থীদের বেশিরভাগই ইমরান খানের আনুগত্য করেন। সরকার গঠন করতে কোনও দল বা জোটকে কমপক্ষে ১৬৯টি আসনে জয় নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টিও ২৪টি আসনে জয় পেয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ১৮টি আসনে জয় পেয়েছে। বাকিগুলো ছোট দল জিতেছে।
এর আগে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) দল হিসাবে বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি তাদের নির্বাচনী প্রতীকও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আর তাই ইমরানের দলের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গেলো বৃহস্পতিবার থেকে মোবাইল নেটোয়ার্ক বন্ধ থাকায় এ বিলম্ব হচ্ছে।
এদিকে ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় নির্বাচনে কার্চুপির আশংকা করছেন অনেকেই।