মিয়ানমারের জান্তাবাহিনীর সাথে লড়াইয়ের সময় তাদের ক্যাম্প থেকে জব্দকৃত অস্ত্রের প্রদর্শনী করেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি। সংগঠনটির দাবি বর্তমানে রাখাইনে বিদ্রোহীদের উপর হামলার বদলে, নিজেদের বাঁচাতেই ব্যস্ত সরকার।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আরাকার আর্মির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মিয়ানমারের গণমাধ্যম দ্যা ইরাবতী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গেলো শুক্রবার আরাকান আর্মি মিয়ানমার জান্তাবাহিনী থেকে জব্দকৃত অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক যানবাহন প্রদর্শন করে। এসব অস্ত্র মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মিনবায়া পৌর এলাকায় (মিয়ানমারে ৩য় স্তরের প্রশাসনিক অঞ্চল) মোতায়েনকৃত ৩৭৯, ৩৮০ এবং ৫৪১ পদাতিক বাহিনী থেকে জব্দ করে এ বিদ্রোহী সংগঠনটি।
এসময়ে আরাকান আর্মি জানায়, ১৩ নভেম্বর থেকে চলা লড়াইয়ে তাঁরা এখন পর্যন্ত জান্তা বাহিনীর ১৭০ টি পোস্ট এবং ৬ টি শহরাঞ্চল দখলে নিয়েছে।
রাখাইনে আরাকান আর্মির দখল্কৃত অঞ্চল
ইরাবতি জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলীয় মংডু, রামরি, রাথিডং পৌর শহরে হামলার তীব্রতা বাড়িয়ছে আরাকানা আর্মি। এ এলাকাগুলোতে নিজেদের সর্বশেষ অবস্থানটুকু ধরে রাখতে ক্যাম্পের আশেপাশে, সেনা ,নৌ ও বিমান বাহিনী দিয়ে গোলাবর্ষণ করছে জান্তাবাহিনী।
গেলো ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে, রাখাইনের উত্তরে রাথিডং এবং মংডুতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণকৃত দুটি পোস্টে হামলা চালায় আরাকান আর্মি।
আরাকান আর্মির বরাত দিয়ে ইরাবতি আরও জানায়, বিদ্রোহীদের একের পর এক হামলায় পর্যদুস্ত জান্তা বাহিনী রাখাইনের বেসামরিক নাগরিকদেরকে তাদের টার্গেটে পরিণত করেছে। দেশটির নৌবাহিনী কিয়াকফু পৌর এলাকায় তিনটি জেলে নৌকা থেকে ৯ জেলেকে আটক করেছে।
প্রসঙ্গত, গেলো ১৩ নভেম্বর থেকে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে বড় আকারে আক্রমণ শুরু করে আরাকান আর্মি।
আই/এ