মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী ও জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনগুলো দেশটির কয়েকটি অঞ্চলে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে আরও কয়েকটি ঘাঁটি দখলের দাবি করেছে। গেলো চারদিনে এসব ঘাঁটির দখল নিয়েছে তারা।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারের থাইল্যান্ডভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব ঘাঁটিগুলোর হলো কাচিন, রাখাইন ও মন রাজ্য এবং সাগাইং ও বাগো অঞ্চলের। তবে সেনাদের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
জানা গেছে, টানা তিন দিন লড়াইয়ের পর সোমবার আরাকান আর্মির সদস্যরা কাচিন রাজ্যে মানদালায়-মিটকিনিয়া সড়কে সেনাবাহিনীর একটি কৌশলগত ঘাঁটি অবরোধ করে। মানসি শহরের সিখাংগি গ্রামে সেই ঘাঁটিতে কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি ও কাচিন রিজন পিপলস ডিফেন্স ফোর্সও একই সঙ্গে হামলা চালায়। প্রায় ৩০ বছর পুরোনা সেই ঘাঁটিতে সেনাদের দুই পদাতিক বাহিনী অবস্থান করছিল।
সশস্ত্র সংগঠনগুলোর বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ঘাঁটিটি রক্ষায় সেনারা ৬০ বারের বেশি বিমান হামলা চালায়। সেই হামলায় ছয় বেসামরিক ব্যক্তি নিহত ও আরও ১৫ জন আহত হন। এছাড়াও বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরে আরাকান আর্মির হাতে আরেকটি সেনাঘাঁটির পতন হয়েছে।
মিয়ানমারের ভারত সীমান্তবর্তী উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় সাগাইং অঞ্চলে সেনাঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। এর আগে গত শনিবার মিয়ানমারের থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী দক্ষিণে বাগো অঞ্চলে সেনাদের ওপর হামলা চালায় সশস্ত্র বিদ্রোহীরা।
আরেক প্রতিবেদনে ইরাবতী জানিয়েছে, মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশের একটি হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী।
আরাকান আর্মির দাবি, মিয়ানমার জান্তা ‘সবচেয়ে বিধ্বংসী বোমা’ দিয়ে হাসপাতালে হামলা করেছে। তারা বলছে, জান্তার সামরিক বাহিনী রাখাইন রাজ্যের উপকূলীয় শহর রামরিতে আরও শক্তিশালী ও ধ্বংসাত্মক বোমা ফেলতে শুরু করেছে।
গেলো বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রামরি শহরে আরাকান আর্মি এবং জান্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তারপর থেকে জান্তা বাহিনী এই শহরটিতে ঘন ঘন আকাশ, সমুদ্র এবং স্থল পথে বোমাবর্ষণ করে চলেছে।