আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

‘নিম্ন আয়ের মানুষেরা এখন চরম অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে’

‘নিম্ন আয়ের মানুষেরা এখন চরম অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে’

জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ার কারণে নিম্ন আয়ের মানুষেরা এখন চরম অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও করোনাকালীন দারিদ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি এই ঝুঁকিকে আরও বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতে মোট ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা গত অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা বেশী। তবে চলমান মূল্যস্ফীতি, দরিদ্র্য মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি ও বেকারত্ব বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামাজিক নিরাপত্তার বরাদ্দ ও নতুন কর্মসূচিকে ‘অপ্রতুল’ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। 

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ার কারণে নিম্ন আয়ের মানুষেরা এখন চরম অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে। 

অর্থনীতিবিদরা আরও বলছেন, চলতি বছরের বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়লেও মোট বাজেট ও জিডিপির তুলনায় এর গুরুত্ব কমেছে। তাই এটি দরিদ্রবান্ধব বাজেট হয়নি। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, কোভিডে দারিদ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি, বেকারত্বের কারনে গরীব মানুষের জন্য জীবন যাত্রা অনেক কঠিন হবে। ফ্যামিলি কার্ড, ওএমএস, ভিজিএফ, ভিজিডি ও কাবিখা প্রকল্পে সুশাসনের তাগিদ দিলেন অর্থনীবিদরা।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. এম. আবু ইউসুফ গণমাধ্যমকে বলেন, মেগা প্রকল্পের খরচ ও বড় আকারের বাজেট বাস্তবায়নে বৈদেশিক ঋণের বোঝা মধ্যবিত্তকেও চাপে ফেলবে। 
বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিএফ, খাদ্য নিরাপত্তা সেবাসহ  উপকারভোগীরা যাতে প্রাপ্যটুকু পায় সে বিষয়ে তৃণমূল পর্যায়ে দুর্ণীতি রোধ করতে হবে। 

উল্লেখ্য, গেলো ৯ জুন (বৃহস্পতিবার)  জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বাজেট উপস্থাপন করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।  নতুন অর্থবছরে বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা বাজেটের ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও জিডিপির ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৭ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা। এ হিসাবে বরাদ্দ বেড়েছে ৫ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা। এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১১ লাখ উপকারভোগী বাড়ানো হচ্ছে। দেশে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী খাতের আওতায় ১২৩টি কর্মসূচি বা বিষয় রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করছে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। এগুলোর মধ্যে ৮টি কর্মসূচি হচ্ছে নগদ ভাতা, আর ১১টি খাদ্য সহায়তা।

মির্জা রুমন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন নিম্ন | আয়ের | মানুষেরা | এখন | চরম | অর্থনৈতিক | ঝুঁকিতে