নাম হযরত আলী মিয়া। বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এর আগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়া্রম্যানের দায়িত্বও সামলিয়েছেন। ঘরে প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও এবার তার বিরুদ্ধে উঠেছে গরিব পরিবারের এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) ফাঁদে ফেলে বিয়ে করার অভিযোগ। ওই স্কুলশিক্ষার্থীর পরিবারই তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়নে ঘটেছে এই ঘটনা। এতে উপজেলা জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। তবে এমন কাণ্ডে বিচার হওয়া দরকার বলে মনে করছেন বিভিন্ন সচেতন মহল।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান চলাকালে কৌশলে ওই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে যান হযরত আলী মিয়া (৭৭)। সপ্তাহ গড়িয়ে গেলেও খোঁজ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে ভুক্তভোগী পরিবার। কিশোরীকে বিয়ে করার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে থানায় অভিযোগ দেয় কিশোরীর পরিবার।
অভিযোগ পত্রে কিশোরীর বাবা জানান, গরিব হওয়ায় সহযোগিতার কথা বলে হযরত আলী তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। তাকে সরল মনে বিশ্বাস করতেন তাঁরা। মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করেছেন। এতেই ক্ষান্ত হননি,থানায় অভিযোগ দেয়ার পরে সেটি তুলে নিতেও হুমকি দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. তোফাজ্জল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘চেয়ারম্যান সাহেব ওই কিশোরীকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বয়স এফিডেভিট করে বিয়ে করেছেন বলে তিনি শুনেছেন।
ধনাবাড়ী থানার ওসি বায়ান্ন টিভিকে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই স্কুলছাত্রী উদ্ধার করে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। তবে পরিবারটি এখনও ( সোমবার রাত ৮ টা পর্যন্ত) মামলা না করায় এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। মামলা হলে পুলিশ অবশ্যই আসামিকে গ্রেপ্তার করবেন বলেও জানান ধনবাড়ি থানার এই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।