আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

পদ্মাপাড়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের চিন্তার ভাঁজ কি মেটাবে পদ্মা সেতু!

পদ্মাপাড়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের চিন্তার ভাঁজ কি মেটাবে পদ্মা সেতু!

পদ্মা পাড়ের মানুষগুলোর ছোট ছোট আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আজকের স্বপ্নের পদ্মা সেতু বলাই যায়। পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নে কেবল দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয়, ব্যাপক পরিবর্তন হবে সেতুকেন্দ্রিক স্থানীয় মানুষের জীবনেও।

তবে সেতু চালুর পাশাপাশি ব্যবসায়িক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ক্ষুদ্রব্যবসায়ীরা। সেটিও কিন্তু এক ধরনের বাস্তবতা। তাই সেতু চালুর পাশাপাশি স্থায়ী কোনো বাজার ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়েছেন এই দোকানিরা।

পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের ছোট্ট বাজার ছাত্তার মাদবরের ফেরিঘাট।  এখানকার  বাজারে কমবেশি দোকান রয়েছে কমপক্ষে তিনশটি। মূলত ঘাটে যাত্রী পারাপারের ওপর ভর করেই গড়ে উঠেছে এসব দোকান। তবে সেতু পুরোপুরি চালু হলে কী হবে তাদের ভবিষ্যৎ, তা নিয়ে শঙ্কায় তারা।

দোকানদাররা বলছেন,  এটা ছেড়ে হয়তো অন্য কাজ করতে হবে তাদের। দোকান এখানে আর চলবে না। লঞ্চ নেই, ফেরি না থাকলে; আসবে কারা আর খাবে কারা।

এক দোকানি বলেন, আমরা গরিব হলেও এটা আমাদের গর্ব- আমাদের এলাকায় পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে। ঘাট থাকার সময় ভালো চলেছে। এখন একটু খারাপ লাগতেছে। অত টাকা পয়সা নেই, আমরা গরিব মানুষ।

এক সিএনজি চালক বলেন, সিএনজি যদি সেতুতে না উঠতে দেয়, আমাদের সিএনজি চালানো বন্ধ হয়ে যাবে। সংসার চালাতে সমস্যা হবে।

পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পদ্মাসেতুকে ঘিরে যে আগাম ভবিষ্যৎ অর্থনীতির কথা ভাবছে সরকার, তাতে এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরও যুক্ত করার পরামর্শ দেন অর্থনীতিবিদরা।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই সব ক্ষুদ্রব্যবসায়ীদের অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ত্বরান্বিত হবে উন্নয়ন। আর এর জন্য স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি রাখতে হবে সরকারকে।
পদ্মার জাজিরা প্রান্তে এমন বাজার রয়েছে আরও তিনটি, অপরদিকে মাওয়া প্রান্তেও রয়েছে ছোটবড় মিলিয়ে চারটি বাজার।

টিআর

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন পদ্মাপাড়ের | ক্ষুদ্র | ব্যবসায়ীদের | চিন্তার | ভাঁজ | মেটাবে | পদ্মা | সেতু