উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় চিকিৎসা বিদ্যাপীঠ রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (আরএমইউ) ‘স্থাপন প্রকল্প’ ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোপোজাল (ডিপিপি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে একনেক সভায় অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কনেকের সভায় অনুমোদিত প্রায় ১০ হাজার ৮৫৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১০টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (আরএমইউ) এ স্থাপন প্রকল্পটি।
প্রায় ১,৮৬৭ কোট টাকা ব্যয়ে রাজশাহীর বড়বনগ্রম, বারই পাড়া ও বাজে সিলিন্দা মৌজার প্রায় ৬৮ একর জায়গার উপর নির্মিত হবে দেশের প্রথম পরিকল্পিত এ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাথমিক ভাবে বিশ্ববিদ্যালটি সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হলে এখানে ১০ টি অনুষদের অধীন ৬৮ টি বিভাগের মাধ্যমে প্রতিবছর ৭৮০ জন গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যজুয়েট পর্যায়ের শিক্ষার্থী শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ পাবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলে ডাক্তার-নার্সসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে উত্তর অঞ্চলের প্রায় ২ কোটি মানুষ উন্নত চিকিৎসা সেবার আওতায় আসবে। অধিকন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হলে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে বহির্গমনের ফলে প্রতিবছর ব্যয়িতব্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মূদ্রার সাশ্রয় এবং রাজশাহী নগরীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
রামেবি উপাচার্যের একান্ত সচিব ইসমাঈল হোসেন বলেন, অতি শিঘ্রই শুরু হবে জমি অধিগ্রহণ ও অবকাঠামো নির্মাণ প্রক্রিয়া। প্রাথমিক পর্যায়ে একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, ১২০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, মসজিদ, স্কুল, ডে-কেয়ার সেন্টার, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, ভিসি বাসভন, ডরমেটরি, মেডিকেল গ্যাস প্ল্যান্ট সহ মোট ২১ টি গুরুত্বপূর্ণ ভবন স্থান নির্মাণ হবে।
২০১৬ সালের ১৮ নং আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১ সালের ২৭ মে অধ্যাপক ডা. এ, জেড, এম মোস্তাক হোসেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়টির বাস্তবিক রুপ প্রদানের লক্ষ্যে ডিপিপি প্রনয়ের উপরে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেন। তাঁর যোগদানের ১ বছরের মাথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি বড় ও বিশেষায়ীত প্রকল্প একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হ হলো।
প্রকল্পটি অনুমোদিত হওয়ায় মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ, জেড, এম মোস্তাক হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রী, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীসহ একনেক সভার সকল সদস্য, পরিকল্পনা কমিশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। একই সাথে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাসিক মেয়ক এএইচএম খাইরুজ্জামান লিটনের প্রতি।
