বৃহস্পতিবার বেইলি রোডে আগুনে ৪৬ জন মারা গেছেন, এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে! অথচ অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছি, সেটা কিন্তু মানা হচ্ছে না। এসব ক্ষেত্রে সচেতনতা খুব জরুরি। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শুক্রবার (০১ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় বিমা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেইলি রোডে যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে কোন ফায়ার এক্সিট নেই। এসব ভবন নির্মাণে ইঞ্জিয়ার এবং মালিকদের গাফেলতি থাকে। এসব ক্ষেত্রে সচেতনতা খুব প্রয়োজন। বর্তমানে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে, জীবন ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সে ক্ষেত্রে ইনস্যুরেন্স কিন্তু নিরাপত্তা দিতে পারে।
তিনি বলেন, আমি খোলা জায়গা রাখতে বলি; কিন্তু স্থপতিরা ওই রকম ডিজাইন করেন না। মালিকরাও এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে চান না।
তিনি বলেন, আমি খোলা জায়গা রাখতে বলি; কিন্তু স্থপতিরা ওই রকম ডিজাইন করেন না। মালিকরাও এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে চান না।
তিনি আরও বলেন, বিমা নিয়ে যারা দুই নম্বরি করে, তারা আবার টাকাও পেয়ে যায়। কারণ, তারা ম্যানেজ করে ফেলে। কেউ যাতে ম্যানেজ করতে না পারে, আর সত্যিকার যাদের প্রাপ্য তারা যেন সহজে পায় বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেখলাম একটা পোশাক কারখানায় ঘনঘন আগুন লাগে। এরপর তদন্তে দিলাম। দেখা গেল ওই কারখানার এক কর্মীকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হলো আগুন লাগানোর জন্য। আর দাবি করা হলো ৪০ হাজার কোটি টাকা। অথচ এই পরিমাণ টাকার মালামাল পুড়েওনি। নিজেই আগুন লাগাতো, মোটা অংক দাবি করতো।
শেখ হাসিনা বলেন, বিমা করলে কী সুবিধা সেটা মানুষকে জানাতে হবে। সামান্য একটা প্রিমিয়াম দিয়ে একটা বিমা করলে, পরে কিন্তু অনেক সমস্যা হয় না। বিমার টাকা যেন মানুষ সহজে পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।