আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জে আবারও বন্যা

সুনামগঞ্জে আবারও বন্যা

এক মাসের ব্যবধানে সুনামগঞ্জে আবারও বন্যা। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকায় বন্যা দেখা দিচ্ছে। 

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ।

এবার সুনামগঞ্জের ছয় উপজেলায় দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে। জেলার সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও শাল্লায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। 

দুদিন ধরে সুনামগঞ্জ পৌরশহরে বেশ কিছু এলাকায় পানি ঢুকে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। শহরের তেঘরিয়া, বড়পাড়া, নবীনগর, হাছননগর ও মধ্যবাজারে পানি উঠে গেছে। এসব এলাকার মূল সড়কে হাঁটুসমান পানি রয়েছে। দোকানপাটে পানি ঢুকে যাওয়ায় কেনাবেচা করতে সমস্যা হচ্ছে। শহরের অনেক বাড়িঘরেও পানি ঢুকে পড়েছে।

দ্বিতীয় দফার বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা। ছাতকের সর্বত্র পানি থাকায় সড়ক-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ছাতক ও দোয়ারাবাজারের প্রায় সব ইউনিয়নেই বন্যায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি। এখন পর্যন্ত ১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে চার শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।

একইভাবে তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার প্রধান সড়কে পানি থাকায় ওই দুই উপজেলার সঙ্গেও সড়ক-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এদিকে, বন্যায় বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বন্যা দেখা দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছে না; আবার বিদ্যালয়গুলোতে বন্যার্তেরা আশ্রয় নেয়ায় পাঠদানও বন্ধ রয়েছে।

সুনামগঞ্জের ছয় উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতির তথ্য স্বীকার করে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে টাকা ও শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে। আরও অর্থ ও প্যাকেটজাত খাবার বরাদ্দ দিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।

টিআর

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সুনামগঞ্জে | আবারও | বন্যা