দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা ধরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এস আলম সুগার মিলের আগুন জ্বলছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকায় ফায়ার সার্ভিসের জনবল কমানো হয়েছে বলে জানা গেছে। গুদামে থাকা সব চিনি এরই মধ্যে গলে গেছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল পৌনে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১০টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু কারখানার ভেতর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আমরা আগুন নির্বাপণে এখন সাতটি ইউনিট ব্যবহার করছি।
এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মিলে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে একে একে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। রাতে যোগ নৌ, বিমান ও কোস্টগার্ড। সর্বশেষ রাত ৯টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি কোম্পানি (১৫০ সদস্যের) আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়।
এস আলম সুগার মিলের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার হাসমত আলী জানান, কারখানার পুরো প্রসেস এবং কারখানা নিরাপদ রয়েছে। আগুন যাতে ছড়াতে না পারে, সেজন্য গোডাউন থেকে কারখানার মূল প্ল্যান্টের আসার বেল্ট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।
এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের পাওয়ার প্লান্টের সহকারী ফিটার মনির জানান, ওই গুদামে প্রায় ১ লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। এগুলো পুড়ে গেছে। কাছেই পরিশোধিত চিনি আছে আরো কয়েক লাখ টন।
রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভাগীয় কমিশনার, উন্নয়ন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, আগুন এখনো কারখানার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। বাহিরে আগুন লাগার কোনো সম্ভবনা নেই। আগুন নিয়ন্ত্রণে নৌ-বাহিনী, সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটও কাজ করছেন আগুন নিয়ন্ত্রণে।
তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট প্রদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।