আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

নেত্রকোণার ১০ উপজেলা পানিতে ভাসছে, ৭টিতে নেই বিদ্যুৎ

নেত্রকোণার ১০ উপজেলা পানিতে ভাসছে, ৭টিতে নেই বিদ্যুৎ

উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর  অতি বৃষ্টির কারণে নেত্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। এদিকে গেলো ২৪ ঘণ্টার টানা আরও ১০ উপজেলা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সাত উপজেলার মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পর থেকে এর মধ্যে কলমাকান্দা উপজেলায় সম্পূর্ণভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। অন্য উপজেলাগুলোর কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সচল থাকলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র ৩-৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। বিদ্যুৎ না থাকায় এসব এলাকায় মুঠোফোন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরি, বারহাট্টাসহ সাতটি উপজেলায় বন্যার পানি দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। অল্প সময়ের মধ্যেই দুর্গাপুর ও কলমাকান্দায় পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। কলমাকান্দায় প্রায় ৯২ শতাংশ, খালিয়াজুরিতে ৯৫ শতাংশ ও দুর্গাপুরে ৮০ শতাংশ এলাকা পানির নিচে রয়েছে। ১০টি উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত আট লক্ষাধিক মানুষ। উপজেলার সঙ্গে ইউনিয়ন ও জেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ৬ উপজেলায় ২০৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ ঠাঁই নিয়েছে।

বুধবার থেকে শুরু হওয়া বর্ষণ এবং উজানের ঢলে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার জেলার প্রধান নদ-নদীসহ হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, বারহাট্টা, খালিয়াজুরী, মদন ও মোহনগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লক্ষাধিক মানুষ। তলিয়ে গেছে মৌসুমি সবজিসহ আউশ ধানের খেত। পানিতে ভেসে গেছে সহস্রাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ। রাস্তার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে আন্তঃসড়ক যোগাযোগ।

এরই মধ্যে শুক্রবার সারা রাতের বৃষ্টিতে নেত্রকোনা সদর, পূর্বধলা, কেন্দুয়া ও আটপাড়াও প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানির স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নেত্রকোণা-মোহনগঞ্জ রেলপথের বারহাট্টা উপজেলার অতিথপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন ইসলামপুর এলাকার রেলসেতুটিও। এতে নেত্রকোণা থেকে সারাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পানিতে প্লাবিত হয়েছে জেলার শত শত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদরাসা।

তবে বন্যাদুর্গতদের মধ্যে জেলা, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সংগঠন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছেন। তবে জনসংখ্যার তুলনায় এসব ত্রাণ-সামগ্রী অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন বন্যাদুর্গতরা।

টিআর

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন নেত্রকোণার | ১০ | উপজেলা | পানিতে | ভাসছে | ৭টিতে | নেই | বিদ্যুৎ