একদিনের মধ্যে চিনির দাম বাড়ানোর ঘোষণা থেকে সরে এসেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে এক অডিও বার্তায় টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, টিসিবির চিনির মূল্য ১০০ টাকা নয়, আগের মূল্য ৭০ টাকাই থাকবে।
এর আগে গতকাল ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির চিনির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়।
বুধবার (৬ মার্চ) টিসিবির ঢাকা আঞ্চিলক কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক মো. হুমায়ুন কবিরের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির (ভোজ্য তেল-ডাল-চাল-চিনি) সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি করে। রমজান উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্বের বিক্রয় কার্যক্রম ৭ মার্চ থেকে সারাদেশে চলবে।
এদিন সকালে তিব্বত মোড়ের ২০০ গজ পূর্বে কলোনি বাজার সংলগ্ন পলিটেকনিক মাঠে দ্বিতীয় পর্বের বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
এই বিক্রয় কার্যক্রম ডিলারদের দোকান বা নির্ধারিত স্থান থেকে সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ও তাদের নির্ধারিত তারিখ এবং সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিচালনা করা হবে।
ভর্তুকি মূল্যে পাওয়া যাবে- ১০০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার ভোজ্যতেল, ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল, দেড়শ টাকায় ১ কেজি খেজুর ও ৩০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল। এর মধ্যে চিনির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বাড়ানো হলেও একদিন পরই আগের ৭০ টাকা দরে ফিরে আসে টিসিবি।
এদিকে গেলো ২২ ফেব্রুয়ারি সরকারি মিলের লাল চিনির দাম কেজিতে ২০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করা হয়। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ২২ ফেব্রুয়ারি রাতেই মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন তারা।