অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশ ভিত্তিক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারসহ মোট ছয় অভিযুক্তকে কলকাতার আদালতে আবারও তোলা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ জুন) ১৪ দিনের জেল হেফাজতের (জুডিশিয়াল কাস্টডি) মেয়াদ শেষেই পি কে-কে আদালতে তোলা হবে। এর আগে গেলো ৭ জুন আদালতে তোলা হয় তাদের প্রত্যেককে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলার প্রথম অর্ধেই তাদের কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে । সেক্ষেত্রে আদালতের কাছে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ফের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের আবেদন জানাবে ভারতের তদন্তকারী সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি)। গেলো সোমবার এই কথা জানান ইডি’র আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী।
এই মামলায় অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কিছু নতুন তথ্যের হদিস পেতে চাইছে ইডির তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলে জানা গেছে। আর সে লক্ষ্যে কারাগারে গিয়ে যাতে তাদের জেরার পথ খোলা থাকে সে আবেদনও আদালতের কাছে জানানো হবে।
ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়া এই ছয় অভিযুক্তের মধ্যে পাঁচ অভিযুক্ত বন্দি রয়েছেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে, বাকী নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের নারী সেলে। সেখান থেকেই তাদের আদালতে আনা হবে।
পিকে হালদারের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এ পর্যন্ত ৩৪টি মামলা হয়েছে। তার সহযোগীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ১২ জনকে গ্রেপ্তারও করেছে দুদক। এদের মধ্যে ১০ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গেলো ১৪ মে অশোকনগর, কলকাতাসহ একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদার ও তার ভাই প্রাণেশ কুমার হালদার, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার ওরফে পৃথ্বীশ হালদার, স্বপন মৈত্র ওরফে স্বপন মিস্ত্রি, উত্তম মৈত্র ওরফে মিস্ত্রি, আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে ইডি। এরপর কয়েকদফায় রিমান্ড ও জেল হেফাজতে নিয়ে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে ইডির হাতে।
উল্লেখ্য, প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে পিকে হালদারকে গ্রেপ্তার করে দুদক। জানা গেছে, অবৈধ ব্যবসাসহ বিভিন্ন অবৈধ উত্স থেকে অর্জিত সম্পদের বেশির ভাগই বিদেশে, বিশেষ করে কানাডায় পাচার করেছেন তিনি। এর আগে গেলো ৮ জানুয়ারি প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে এক হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা পাচারেরও অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
মির্জা রুমন