ভারতের হরিয়ানার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক তার মেয়েকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ থেকে অধ্যাপক বাবা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
অধ্যাপক সন্দ্বীপ গোয়াল লাজপত রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। ঘটনার দিন লালা সন্দ্বীপ গোয়াল তার ৮ বছরের মেয়েকে সাথে নিয়ে স্কুটারে করে সংক্ষিপ্ত ট্যুরে বের হন। এরপর আর ফিরে আসেননি। অপারেশনের ব্লেড দিয়ে তিনি তার ৮ বছরের মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে একই ব্লেড নিজের গলায় চালিয়ে আত্মহত্যা করেন।
সোমবার( ১১ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই অধ্যাপকের এক সহকর্মী পুলিশকে জানায়, সন্দ্বীপ গোয়াল দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন। এজন্য তাকে মানসিক ডাক্তারও দেখানো হয়েছিল।
অন্যদিকে, হরিয়ানা পুলিশের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট রাজেশ মোহান জানিয়েছেন, তার আত্মহত্যার পর ঘটনার আলামত সংগ্রহ করতে পুলিশের ফরেনসিক বিভাগ ঘটনাস্থলে গেছে। সন্দ্বীপ গোয়াল ২০১৬ সাল থেকে লালা লাজপত রায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
গেলো রোববার ৩৫ বছর বয়সী সন্দ্বীপ তার মেয়েকে নিয়ে বিকেল ৪টার দিকে স্কুটার নিয়ে ঘুরতে বের হন। কয়েক ঘণ্টা পার হলেও তারা ফিরে না আসায় তার স্ত্রী তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখতে যান। পরে সন্দ্বীপ গোয়ালের স্কুটারটি তার বিভাগের সামনে পার্ক করা থাকলেও রুমের দরজা ভেতর থেকে লক করা পান। এরপর তার স্ত্রী নিরাপত্তাকর্মীকে ডাকেন। পরে নিরাপত্তাকর্মী এসে দরজা খোলার পরই ভয়ংকর দৃশ্য দেখতে পান স্ত্রী।