নির্বাচনের সময়ে বিরোধের জেরে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আমিরুল ইসলাম নান্নু (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) কুমারখালী থানায় নিহতের বড় ভাই জহিরুল ইসলাম লালু বাদী হয়ে ১৬ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় মোটরসাইকেল নিয়ে পুকুর পাহারা দিতে যাচ্ছিলেন আমিরুল ইসলাম নান্নু (৪৫)। অভিযুক্তরা তার পথরোধ করে আকালের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে যদুবয়রা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান,হালিম,আকাশ রেজা ও সবুজ তাকে হত্যার হুমকি দেন। পরে অন্যান্যরা নান্নুকে এলোপাতাড়ি মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পাশের মাঠে নিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ফেলে আসে।
স্থানীয়রা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় থেকে ওই এলাকায় নৌকার প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ গ্রুপের মধ্যে বিরোধে চলছিল। নিহত নান্নু নৌকা প্রতীকের হয়ে প্রচারণা চালান। নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন। নির্বাচনের পরেও দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অভিযান) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, দলাদলিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে দ্বন্দ্ব ছিল। এরই জের ধরে গত ১৩ মার্চ এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
কুমারখালী থানার ওসি জানান, নিহতের ভাই জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, ওই এলাকায় বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।