এই সরকার নির্বাচনি প্রহসন করেছে ৭ জানুয়ারি। গায়ের জোরে আওয়ামী লীগ দেশ শাসন করতে চায়। একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়। বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
শনিবার (১৬ মার্চ) সদ্য কারামুক্ত যুবদলের ঢাকা বিভাগের সহসভাপতি রেজাউল করিম পলের বাসায় গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, দেশ সৃষ্টি হয়েছিলো গণতন্ত্রের জন্য। আওয়ামী লীগ নিজেদের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে। তাহলে তারা উল্টোটা কেন করছে। আজকে বাংলাদেশে বাকশাল টু কায়েম করা হয়েছে। ১৮ কোটি মানুষ, ১২ কোটি ভোটার কেউ ভোট দিতে যায়নি। এই সরকার তাহলে কিসের জোরে ক্ষমতায় গেছে? শুধু নির্যাতন নয়, সরকার বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, ৭২-৭৫ সালে বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলও। গেলো ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ আবার তেমন করছে। সরকার ভাবছে তারা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। কিন্তু তাদের পরাজয় হয়েছে। কারণ ১২ কোটি ভোটার তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে তারা কারারুদ্ধ করেছিলো।
মঈন খান বলেন, এখান ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ নেই। জুলুম-নির্যাতন করে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। বিএনপি আন্দোলনের সক্ষমতা হারালে প্রতিদিন সরকারের কাছ থেকে হুমকি পেতো না।
রোজায় তৃণমূল মানুষ ইফতার ও সেহেরির খাবার কিনতে পারছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী। দিনদিন তারা জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে। তারা ভেবেছিলো বিদেশ থেকে কোটি টাকা এনে উন্নয়নের ধোঁকা দিয়ে লুটপাট করবে, সেটা করেছেও। তার ফল এখন ভোগ করছে সাধারণ মানুষ। সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট নির্দিষ্ট পরিবার দেশকে লুটে খাচ্ছে। বিএনপি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে।