দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি কাপড়ের হাট নরসিংদীর শেখেরচর-বাবুরহাটের জিয়া উদ্দিন মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে মার্কেটের ৩২টি দোকানে থাকা মালামাল পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এসব দোকানে জাজিম, তোষক ও পর্দা তৈরির কাপড় ছিল। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা করছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
রোববার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত ১ টা ১০ মিনিটে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন নরসিংদী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপসহকারী পরিচালক শিমুল মো. রফি।
হাটের সমিতির নেতৃবৃন্দ জানায়, প্রতি শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক হাট বসে। তবে বৃহস্পতিবার ও রবিবার অর্ধবেলা পাইকারী এই হাটে বেচাকেনা চলে। ছোট বড় প্রায় পাঁচ হাজার দোকান রয়েছে এই হাটে। ঈদকে সামনে রেখে প্রায় প্রত্যেক দোকানেই প্রচুর কাপড় এনেছেন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে হঠাৎ জিয়া মার্কেটে গলিতে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পান স্থানীয়রা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ওই মার্কেটের ৩২টি দোকানে। এসময়ে অনেক ব্যবসায়ী আগুনের ভয়াবহতা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আগুনে পুড়ে যাওয়া কাপড়
ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুনের খবর পেয়ে মাধবদী ফায়ার সার্ভিসের ২ টি, নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের ২ টি, পলাশ ফায়ার সার্ভিসের ২ টি ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের একটি ইউনিটসহ মোট ৭টি ইউনিট প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুণ নিয়ন্ত্রনে আনে।
জিয়া মার্কেটের মালিক মো: কামরুজ্জামান বলেন, এই মার্কেট মোট ৩২টি দোকানে জাজিম, তোষক, কাভার, পর্দাসহ বিভিন্ন ধরনের কাপড়ের বেচাকেনা হতো। প্রায় প্রতিটি দোকানে গড়ে আনুমানিক ২০ থেকে ৪০ লাখ টাকার কাপড় ছিল। আগুনে সবই পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ২৯ অক্টোবর দিবাগত রাত ১১ টার দিকে হাটের বণিক সমিতির পুরাতন অফিস সংলগ্ন গলিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৭০টি দোকানের প্রায় শত কোটি টাকার কাপড় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল।