বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। আমরা এই সেতুর গুরুত্ব বুঝতে পারি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক সুবিধা পাবে। বললেন বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি মার্সি টেম্বন।
আজ শনিবার (২৫ জুন) মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে তিনি একথা বলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুর ১২টায় শুভ উদ্বোধন করেন এই সেতুর।
ঐতিহাসিক এই মুহূর্তের সাক্ষী হতে মাওয়া প্রান্তের সমাবেশস্থলে হাজির হয়েছেন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ছাড়াও সরকারের আমন্ত্রিত অতিথিসহ সাধারণ মানুষ। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিদের আসনে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধিকে হাস্যোজ্জ্বল দেখাচ্ছিল।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণকে বাংলাদেশের জন্য বিশাল অর্জন হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি।
মার্সি টেম্বন বলেন, আমরা খুবই খুশি, এই সেতুর নির্মাণ শেষে উদ্বোধন করা হচ্ছে। দীর্ঘদিনের উন্নয়নের বন্ধু হিসেবে আমরা উচ্ছ্বসিত।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ভ্রমণের সময় কমে আসবে। কম সময়ে কৃষক তার খামারে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে পারবেন। সব মিলে পদ্মা সেতু এই অঞ্চলের সমৃদ্ধি বয়ে আনবে, দারিদ্র্যও কমিয়ে আনবে।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে বিশ্বব্যাংক চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে পিছু হটেছিল। এ নিয়ে দীর্ঘ টানাপড়েনের পর সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের পথে এগিয়ে যায়। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকার নির্মিত সেই সেতুর উদ্বোধন হলো আজ শনিবার।
মির্জা রুমন