সুনামগঞ্জে কমেছে বন্যার পানি। গেলো দুদিন ধরে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সুরমা নদীর পানি। সড়ক ভাঙ্গায় এখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে জামালগঞ্জ, দিরাই, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার ও জগন্নাথপুর উপজেলার।
ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত সুনামগঞ্জ জেলার সব রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল পাঁচদিন। জেলার শান্তিগঞ্জ ও ছাতক উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ চালু হলে এখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে জামালগঞ্জ, দিরাই, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার ও জগন্নাথপুর উপজেলার। অনেক সড়ক ভেঙে খালের মতো হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সড়ক ও জনপথ এবং এলজিইডির তথ্যমতে, জেলার প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটার সড়কের পুরোটাই বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বন্যা কমতে শুরু করলেও অনেক সড়ক এখনও পানির নিচে রয়েছে। এখনও লক্ষাধিক মানুষ ৪৫০টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।
বন্যার ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়কের সদর উপজেলার রাধানগর থেকে বিশ্বম্ভপুর উপজেলার চালবন পয়েন্ট পর্যন্ত সড়ক দেখলে আঁতকে উঠবেন যে কেউ। এই সড়কের ক্ষত চিহ্নগুলো দৃশ্যমান হওয়ায় বন্যার ভয়াবহতা অনুমান করা যাচ্ছে সহজেই। পানির চাপ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে ঘূর্ণিঝড়ে গাছ-ঘরবাড়ি যেমন দুমড়েমুচড়ে যায়, ঠিক তেমনিভাবে দুমড়েমুচড়ে গেছে সড়ক।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম জানান, ৩৫৬ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ১৮৪ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দ্রুত মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।