আর্কাইভ থেকে জাতীয়

এক লাখ রোহিঙ্গা যুক্তরাজ্যে পুনর্বাসন করার প্রস্তাব

এক লাখ রোহিঙ্গা যুক্তরাজ্যে পুনর্বাসন করার প্রস্তাব

এক লাখ রোহিঙ্গাকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে গিয়ে পুনর্বাসন করার প্রস্তাব দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এসময় যুক্তরাজ্যকে ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের বিশ্বনেতা বলেও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে ২৬তম কমনওয়েলথ সম্মেলনের সাইডলাইনে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রুসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এমন প্রস্তাব দেন । 

সোমবার (২৭ জুন) লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ড. মোমেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, যুক্তরাজ্য ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের বিশ্বনেতা। বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এক লাখ রোহিঙ্গাকে একটি উন্নত জীবন দিতে তাদের নিয়ে গিয়ে পুনর্বাসনের বিষয়ে বিবেচনা করতে পারে যুক্তরাজ্য। এতে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বোঝা কিছুটা হলেও কমবে। 

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের দেওয়া বাংলাদেশের উদার আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি ড. মোমেনের প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, যদিও যুক্তরাজ্য এটির দিকে নজর দিতে পারে। তবে রোহিঙ্গা সংকটের সর্বোত্তম সমাধান মিয়ানমারে তাদের স্বদেশে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন।

গত শতকের সত্তর ও নব্বইয়ের দশকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিলো, ফেরতও গিয়েছিলো বলে উল্লেখ করেন আব্দুল মোমেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সে সময় মিয়ানমারের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ছিল। তাই তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিয়েছিলো । কিন্তু এখন এ নিষেধাজ্ঞা নেই। বরং যুক্তরাজ্য ও পশ্চিমা বিশ্ব মিয়ানমারে ব্যাপক বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। মিয়ানমার সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির অভাবে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না।

মিয়ানমারের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যুক্তরাজ্যের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি তিনি ড. মোমেনকে আশ্বস্ত করেন যে আসিয়ান এবং জি৭ দেশগুলোর সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াবেন।

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।  পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা নিয়ে উভয়পক্ষ সম্মত হন। এছাড়া বৈশ্বিক খাদ্য ও শক্তি সরবরাহের চেইন পুনরুদ্ধারে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সম্মত হন তারা 

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে যত দ্রুত সম্ভব ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান। বৈঠকে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম উপস্থিত ছিলেন। 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন এক | লাখ | রোহিঙ্গা | যুক্তরাজ্যে | পুনর্বাসন | করার | প্রস্তাব