জোর করে ক্ষমতা দখলকারী সরকার আজ মানুষের বুকে চেপে বসেছে। অথচ তাদের ক্ষমতায় বসার কোনো বৈধতা নেই। এরা ১৯৭৫ সালেও বাকশালের মাধ্যমে প্রতারণা করেছিল, আর এখন ছদ্মবেশী গণতন্ত্রের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (২৫ মার্চ) নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, যে ভোটাধিকারের মাধ্যম দেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, সে অধিকার আজ কেড়ে নেয়া হয়েছে। আজ সত্য কথা বললেই গ্রেপ্তার করা হয়। আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন করতে চেয়েছি, তা নিয়ে সংগ্রাম করেছি। খালেদা জিয়া সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হওয়ার একটি পরামর্শ দিয়েছিলেন, যে নির্বাচন হবে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে। কিন্তু এসব কিছুই বাস্তবায়ন না করে বাকশালের মত একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। আর এজন্য দেশের যাবতীয় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি স্থানে দলীয় লোক বসানো হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে একটি স্বপ্ন নিয়ে এ দেশটা স্বাধীন করা হয়েছিল, আর তা হলো রাষ্ট্রের মালিক হবে তারা (জনগণ)।এরপর যখন সংবিধান তৈরি করা হলো, সেখানে স্পষ্ট ভাবে লেখা ছিল দেশের মালিক হবে জনগণ। অথচ দুর্ভাগ্য এই যে স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এদেশের মানুষ তার দেশের মালিকানা হারিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্মার্টফোনের মাধ্যমে সরকার দেশের প্রতিটি লোকের ওপর নজরদারি করছে। ফলে মানুষ যখনই কথা বলতে চায়, বিদ্রোহ করতে চায়, তখনই তাকে তুলে নেয়া হয়। এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে লড়াই করা এতো সহজ নয়। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, এখনো চালাচ্ছি। জনগণকেও আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, তাহলেই বিজয় আসবে।