প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে ইন্টারন্যশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আউসিসি) এলিট প্যানেলে জায়গা পেলেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত। আইসিসির বার্ষিক পর্যবেক্ষণ ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সৈকতকে আন্তর্জাতিক আম্পায়ার প্যানেল থেকে এলিট প্যানেলে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
স্বিকৃতি পাওয়ার পরে সৈকত জানান, বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে এ প্যানেলে আসতে পারাটা তাঁর জন্য বিশেষ কিছু। তাঁর ওপর যে আস্থা রাখা হয়েছে তার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কয়েক বছর ধরে তিনি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন এবং সামনে দিনের চ্যালেঞ্জ নিতে তিনি প্রস্তুত আছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার-ক্রিকেট ওয়াসিম খান (চেয়ারম্যান), সাবেক খেলোয়াড় ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, নিউজিল্যান্ডের সাবেক আম্পায়ার টনি হিল এবং কনসালট্যান্ট অফিসিয়েটিং এক্সপার্ট মাইক রিলেকে নিয়ে গঠিত সিলেকশন প্যানেল যাচাই-বাছাইয়ের পর ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল থেকে শরফুদ্দৌলাকে এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেন।
২০১০ সালে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক হয় শরফুদ্দৌলার। গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সৈকত। যেখানে তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণে দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছিলেন।
এ বছর জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দায়িত্ব পালন করেন আম্পায়ার সৈকত।
এছাড়া পুরুষদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে ১০০টি ম্যাচ পরিচালনা করারও কীর্তি আছে তার।
সৈকত ছাড়াও আইসিসির এলিট আম্পায়ার প্যানেলে রয়েছেন, কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), ক্রিস্টোফার গ্যাফফানি (নিউজিল্যান্ড), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা), রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড), রিচার্ড কেটেলবরো (ইংল্যান্ড), নীতিন মেনন (ভারত), এহসান রাজা (পাকিস্তান), পল রাইফেল (অস্ট্রেলিয়া),রড টাকার (অস্ট্রেলিয়া), জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।