আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি নিয়ে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে চাকরিজীবীদের মধ্যে। রোজা ৩০টা নাকি ২৯টা তা স্পষ্ট নয়। এ কারণে ছুটি কবে থেকে শুরু হবে তা পরিষ্কার নয়। সর্বশেষ কর্মদিবস ৮ এপ্রিল নাকি ৯ এপ্রিল তা সিদ্ধান্ত হয়নি।
ঈদে নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে ঈদুল ফিতরের ছুটি একদিন (৯ এপ্রিল) বাড়ানোর সুপারিশ করবে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এ ব্যাপারে আজ সোমবার (১ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ বিষয়ে সুপারিশ করা হবে। এরপর বৈঠকেই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এর আগে রোববার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি আগামী ৯ এপ্রিল ছুটি রাখার সুপারিশ করেছে। কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ৯ এপ্রিল ছুটির আওতায় আনা যায় কি না, সেটার একটা সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদে যাবে। আগামীকাল (সোমবার) মন্ত্রিসভার মিটিং আছে, সেই মিটিংয়ে এই কমিটির একটা সুপারিশ যাচ্ছে। যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে।
ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৯ তারিখ খোলা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ জন্য আমরা (৯ এপ্রিল বন্ধ রেখে) আগের শনিবার অফিস করতে পারি কি না সেই বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সুপারিশ করেছি, যদি ১১ এপ্রিল ঈদ হয়, যাওয়ার জন্য একদিন মাত্র সময় পাবে। সে সেজন্য যানজটটা বাড়তে পারে, এতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। সে জন্য ৯ এপ্রিল ছুটি বিবেচনা করা যায় কি না এই সুপারিশ আমরা দেব।
এবার রমজান মাস ৩০ দিন হলে ঈদুল ফিতর হবে ১১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার)। ১১ এপ্রিলকে ঈদুল ফিতরের দিন ঠিক করে ছুটির তালিকা আগেই করেছে সরকার।
সেই হিসেবে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল (বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র) ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি। পরদিন ১৩ এপ্রিল (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। এর পরের দিন ১৪ এপ্রিল (রোববার) বাংলা নববর্ষের ছুটি। এভাবে টানা ৫ দিন ছুটি থাকবে।
এদিকে, ৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা হলে ঈদে এক টানা ৬ দিন ছুটি মিলবে সরকারি চাকরিজীবীদের।