দেশীয় এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সুষম বৃদ্ধির জন্য ‘বিস্তৃত পরিসরে’ বিনিময় প্রথা চালু করতে সম্মত হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষ দুই দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের ট্রেজারি(কোষাগার) সচিব ইয়ানেট ইয়েলেন এবং চীনা ভাইস প্রিমিয়ার হে লাইফেংয়ের মধ্যে আলোচনার পর এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়েছে। ইয়েলেন এক বছরে তার দ্বিতীয় সফরে চীনে গিয়েছেন।
শুক্র ও শনিবার দুই নেতার আলোচনার পর মার্কিন কোষাগার বিভাগ শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটিারি ইয়েলেন বলেন, আমি আমেরিকান কর্মী এবং সংস্থাগুলোর জন্য সমান সমান নীতির পক্ষে। এই সমর্থনের সুযোগ আমরা ব্যবহার করতে চাই। বিনিময় প্রথা চালুর ফলে সমষ্টিগতভাবে অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা নিয়ে আলোচনার সুবিধা হবে বলেও তিনি জানান।
অর্থনীতিবিদ ইয়েলেন সাংবাদিকদের বলেন, “আমার ধারণা, চীনের শিল্প-কৌশলের প্রভাব নিয়ে মার্কিন জনগণ কতটা উদ্বিগ্ন তা চীন বুঝতে পেরেছে। কারণ চীনের শিল্প-কৌশলের বিপ্লবের কারণে মার্কিন সংস্থাগুলোর জন্য প্রতিযোগিতা করাটা আরও কঠিন হয়ে যায়। এটা একদিনে বা এক মাসে সমাধান করা যাবে না। এটা গুরুতর সমস্যা।”
চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া এই অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতার যুক্তিগুলোকে অস্বীকার করে। তাদের সুরক্ষাবাদী নীতির জন্য এগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ‘অজুহাত’ বলে অভিহিত করেছে।
তাইওয়ান ইস্যুতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা সত্ত্বেও গত নভেম্বরে সান ফ্রান্সিসকোতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শীর্ষ দুই নেতা্র মধ্যকার বৈঠকের মাধ্যমে বেইজিং-ওয়াশিংটনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত হয়েছে।