জাতীয় ঈদগাহে মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। স্পেশাল টিম, ডগ স্কোয়াড এবং আমাদের সুইপিং টিমের মাধ্যমে এখানকার নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। নিরাপত্তাব্যবস্থার কারণে হাতে কিছুটা সময় নিয়ে মুসল্লিদের ঈদগাহে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল মো. কামরুল হাসান।
আজ শনিবার (৯ জুলাই) জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমাকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পাশাপাশি অবজারভেশন পোস্ট এবং সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ঈদগাহে পর্যাপ্ত পরিমাণে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা দল উপস্থিত থাকবে। ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন মেট্রোপলিটন শহর, উপশহর ও গুরুত্বপূর্ণ ঈদ জামাতগুলোতে একইভাবে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব।
তিনি আরও বলেন, ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার শঙ্কা নেই। দেশে ঈদের জামাতের নিরাপত্তার জন্য আগে থেকেই সাইবার পেট্রোলিং এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছিল র্যাব। এবার কোনো ধরনের নাশকতা কিংবা হামলার শঙ্কা বা তথ্য নেই। কিন্তু তারপরও আমরা প্রস্তুতি হিসেবে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করছি।
এদিকে বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রতিটি ব্যাটালিয়ান তাদের আলাদা ফোর্স রিজার্ভ রাখবে, যেন যেকোন পরিস্থিতিতে তারা তাৎক্ষণিক সাড়া দিতে পারে।
এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় অবজারভেশন পোস্ট এবং চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে আমাদের নজরদারি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাওয়ার কথা জানান তিনি।
র্যা বের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘বিশেষ বিশেষ স্থাপনাগুলোতে আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের করে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রাখছি এবং কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা সমন্বয় করা হবে। র্যাবের হেলিকপ্টার সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে বলে জানান তিনি।
যে কোনো সময় সহায়তা পেতে কন্ট্রোল রুমের এই ০১৭৭৭৭২০০২৯ নম্বরে র্যাবের কাছে সহযোগিতা চাইতে পারবেন।