আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

পদত্যাগ করতে চান শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

পদত্যাগ করতে চান শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে সর্বদলীয় সরকার গঠনের জন্য পদত্যাগ করতে নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। 

আজ শনিবার (৯ জুলাই) কলম্বোতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের বাসভবনে ঢুকে পড়ার পর প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, শনিবার সকাল থেকে সারা দেশের হাজার হাজার মানুষ বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনে করে কলম্বোর বিক্ষোভে যোগ দেন। সেখান থেকে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের দিকে যাওয়ার পথে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের সদস্যদের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে তিন ডজনের বেশি পুলিশ, সৈন্য ও বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। পরে বিক্ষোভকারীরা সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা গুঁড়িয়ে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের বাসভবনে ঢুকে পড়েন।

গেলো সাত দশকে এবারই প্রথম নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপ রাষ্ট্র। বর্তমানে দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বলে আর কিছু নেই। ফলে ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ অধ্যুষিত শ্রীলঙ্কা খাবার, ওষুধ, জ্বালানির মতো অতি জরুরি আমদানিও করতে পারছে না।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শনিবার বিক্ষোভকারীরা অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রেসিডেন্টের সমুদ্রমুখী কার্যালয়ের সামনে ভারী ধাতব প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে অগ্রসর হন। আগে বিক্ষোভের ডাক দেওয়ায় পূর্ব সতর্কতা হিসেবে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে শুক্রবার রাতেই বাসভবন ছেড়ে সেনাবাহিনীর সদরদফতরে পালিয়ে যান। তবে বর্তমানে লঙ্কান এই প্রেসিডেন্ট কোথায় আছেন, সেবিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

উদ্ভূত অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া দরকার সেই বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে আলোচনা করেছেন বিক্রমাসিংহে। তার কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিক্রমাসিংহে দলীয় নেতাদের বলেছেন যে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ এবং সর্বদলীয় সরকার গঠনের পথ তৈরি করতে ইচ্ছুক।

দেশটির সরকারি একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, বিক্রমাসিংহেকেও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

মির্জা রুমন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন পদত্যাগ | করতে | চান | শ্রীলঙ্কার | প্রধানমন্ত্রী