সাভারের আশুলিয়ায় উচ্চ ভোল্টেজের বিদ্যুতের খুটিতে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। পরে নিথর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকার সিটি হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত বিদ্যুৎ কর্মীর নাম মো. মোবারক হোসেন (৩১)। তিনি ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধীনে আশুলিয়া সাব জোনাল অফিসের বিরুলিয়া এরিয়া অফিসের লাইনম্যান (গ্রেড-১) হিসেবে কাজ করতেন। তিনি শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানার কুরুয়া গ্রামের মো.আসাদুজ্জামানের ছেলে। আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকায় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন মোবারক হোসেন। প্রায় ৮ বছর ধরে পল্লী বিদ্যুতে কর্মরত ছিলেন তিনি।
দূর্ঘটনার সময় ভুক্তভোগী মোবারকের সহযোগী হিসেবে কাজ করছিলেন পল্লী বিদ্যুতের অপর কর্মী সুবল কুমার দে। তিনি খুটির নিচে ছিলেন। এবং মোবারক খুটি বেয়ে উপরে উঠে কাজ করছিলেন।
সহকর্মী সুবল কুমার দে বলেন, আমরা যেই লাইনে কাজ করছিলাম সেখানে ৩ টি ৩৩ কেভির গ্রাহক ও আমাদের একটি সাবস্টেশন সংযুক্ত ছিল। কাজ করার আগে সবার লোড ০ করার কথা ছিল। আমাদের জানানো হয়েছিল সবাই লোড ০ করেছে। কিন্তু আমার ধারণা কেউ না কেউ লাইন চালু রেখেছিল, তাই ফ্ল্যাশিং হয়ে মোবারকের শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করি।
পল্লী বিদ্যুৎ জানিয়েছে ৩৩ কেভি লাইনের সাথে সংযুক্ত ছিল, ডেফোডিল ইউনিভার্সিটি, মেট্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, মুরাদ এ্যাপারেলস ও পল্লীবিদ্যুতের ১টি সাব-স্টেশন।
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌঃ মো. মাশফিকুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় কারও গাফিলতি আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আগামী ৫-৬ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট প্রদান করবে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব সাহা বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় তাদের আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।