আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ এসে বলে, এখনো বেঁচে আছি, মরিনি :গয়েশ্বর

মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ এসে বলে, এখনো বেঁচে আছি, মরিনি :গয়েশ্বর

বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মাঝে দেখা করতে আসে। বিদ্যুৎ এসে বলে, এখনো বেঁচে আছি, মরিনি। বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
 
আজ বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রয়াত সাবেক সভাপতি শফিউল বারী বাবুর স্মরণে এ সভার আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে কয়েক মাস আগে অনেক মাতামাতি শুনলেও আসলে তা ছিল ফাঁকা বুলি। তাই এই সরকারের উন্নতি ঘরে ঘরে মোমবাতি। জনগণের হাতে এ সরকার হারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আপনি যে বিএনপিকে বললেন আপনার বাড়ি ঘেরাও করতে আসলে আপনি চা খাওয়াবেন। চা খেতে গেলে যতটুকু পানি প্রয়োজন ততটুকু পানি আছে তো আপনার কাছে? জনগণ গণভবনে চা খেতে যাবে না, যাবে আপনাকে বিদায় করতে।

তিনি আরও বলেন, ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা শুনেছি। দরকার ১১ হাজার মেগাওয়াট। এখন ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎও নেই। কুইক রেন্টালের মাধ্যমে কাদের কত টাকা দেওয়া হয়েছিল, কত টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল, কতটুকু বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা ছিল আর কতটুকু পেয়েছেন, কত টাকা দিয়েছেন আর কত টাকার বিদ্যুৎ পেয়েছেন— তার হিসাব দিন। জনগণ বিদ্যুৎ পাবে না, কিন্তু ঋণ পরিশোধ করবে কেন?

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেবেন— এটা নাকি হাস্যরসাত্মকভাবে বলেছেন। আমি বলবো খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঠাট্টা করেন, কিন্তু ১৪ বছর ধরে জনগণের সঙ্গে যে ঠাট্টা-মশকরা করছেন তার প্রতিশোধ জনগণই নেবে।

নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। কোন দল নির্বাচনে আসবে, কারা আসবে না এ নিয়ে আপনার কথা বলার অধিকার নেই। আপনি এ নিয়ে কথা বলার কে? আগামী নির্বাচন এ কমিশনের অধীনে করা হবে না। শেখ হাসিনা যতদিন আছেন, আপনিও ততদিন আছেন।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শেখ হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ থেকে বাধ্য করতে হবে। সেই কাজটাই এখন আমাদের জরুরি। সভা-সমাবেশ নয়, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। 

তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী একজন আদম বেপারী। একবার বলেন, আমরা আইএমএফের কাছ থেকে টাকা ধার নিই না, আবার পত্রিকায় দেখি আইএমএফের কাছে টাকা ধার চান। তারা সকালে একরকম কথা বলে আবার বিকেলে অন্যরকম কথা বলে। সরকারের অবস্থা তেঁতুল গাছের মতো, যে গাছ লাগিয়ে তেঁতুল বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করবে।

 

বিআ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মাঝে | মাঝে | বিদ্যুৎ | এসে | বলে | এখনো | বেঁচে | আছি | মরিনি | গয়েশ্বর