সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার নানা চেষ্টা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, রেসকোর্সের ঐতিহাসিক বক্তব্য ও ভাষা আন্দোলনে তার নেতৃত্বের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। তার ভাষণ প্রচারে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা ছিল। সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, সবার সহযোগিতায় আজকে আমরা সেই সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে পারছি। সত্যকে কখনও মুছে ফেলা যায় না, সেটা আবার প্রমাণি’।
আজ শুক্রবার (১৯ মার্চ) বিকালে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘মুজিব চিরন্তন’ উৎসবের তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপকসে।
এসময় শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মার্চ মাস বাঙালি জাতির জন্য এক স্মরণীয় মাস। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি হাজার বছর ধরে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম আবাসভূমি এনে দিয়েছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৪৮ সালের এই মার্চ মাসের ১১ তারিখে তিনি মাতৃভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বপ্রথম কারাগারে অন্তরীণ হন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ পাকিস্তানি শাসকদের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন- এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা। এর সপ্তাহ আড়াই পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ঘোষণা করেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা। সমগ্র জাতিকে নির্দেশ দেন প্রতিরোধ যুদ্ধের, মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করার।’
জাতির জনকের স্মৃতিচারণ করে তার কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবদিক দিয়ে মানুষ যেন উন্নত জীবন পায় সেটাই ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। তাই আসুন জাতির পিতার ১০১ জন্মদিনে আমরা সেই প্রতিজ্ঞা নিই, যেন জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছেন আমরা সেটা পূরণ করব। বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক চেতানার দেশ।’
দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ উন্নয়শীল দেশ হিসেব উন্নীত হতে পেরেছি। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমরা চাই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত জাতির পিতার সোনার বাংলা হয়ে উঠুক।’
শেখ সোহান