যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো ইউরোপ। আন্দোলনের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে নেদারল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। খবর-
দ্য গার্ডিয়ান
ইসরাইলের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে ছাত্ররা বিশ্ববিদালয়ের ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল দখল করে রেখেছে।
ডাচ পুলিশ গেলো সোমবার আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ১৬৯ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে। এসময় বিক্ষোভকারীদের লাঠি চার্জ ও বেশ কয়েকটি তাঁবু ভেঙ্গে দেয় ।
ইউনিভার্সিটি অব আমস্টারডামের পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের ওপর দুই বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব আটরেশট এবং ডেলফ বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলন। ইউনিভার্সিটি অব আটরেশট বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীর সামনে প্রায় ৫০ জন বিক্ষোভকারী দেখা যায়। পাশাপাশি ডেলফ বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রদের আন্দোলন করতে দেখা যায়।
এদিকে জার্মানির লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ৫০ থেকে ৬০ জন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় টির একটি লেকচার হল দখল করেছে। এসময় তাদের হাতে একটি ব্যানার দেখা যায়, যেখানে লিখা- “গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় দখল”।
বিক্ষোভকারীরা ভিতর থেকে লেকচার হলের দরজায় ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে এবং ক্যাম্পাসে তাঁবু তৈরি করেছে। কাউকে গ্রেপ্তার করা না হলেও ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ।
এর আগে, বার্লিনের ফ্রি ইউনিভার্সিটিতে শুরু হয় ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রায় ৮০ জন ছাত্র তাঁবু গেঁড়ে বসে। পরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
গেলো মঙ্গলবার গাজা উপত্যকার রাফায় হামলা শুরু করে ইসরাইল। সেখানে প্রায় ১৪ লাখের মতো ফিলিস্তিনি অবস্থান করছে। হামলার সময় ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী দখল করে নেয় রাফার গুরুত্ব পুর্ণ একটি সীমান্তপথ। বিভিন্ন আন্তরজাতিক সংগঠন বলছে এ সীমান্তপথ ছিল গাজায় ত্রাণ পাঠানোর একমাত্র পথ।
এনএস/