আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

নদীতে পড়ে যাওয়া শিশু ২ ঘণ্টা পর উদ্ধার

নদীতে পড়ে যাওয়া শিশু ২ ঘণ্টা পর  উদ্ধার

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া এমভি জাহিদ-৩ লঞ্চে গোসল করার সময় নদীতে পড়ে যাওয়া নিখোঁজ শিশুকে ২ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করেছেন স্থানীয় জেলেরা। গেলো রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরে পটুয়াখালীর আগুনমুখা নদী‌র মাঝ পয়েন্ট  এ ঘটনা ঘটে।

জীবিত উদ্ধার হওয়া শিশু ওসমান গ‌নি জুয়েল ওই লঞ্চে বাবুর্চির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়।

আজ সোমবার (১ অগাস্ট) গলাচিপার পানপট্টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, পানপট্টি এলাকার জেলে জুয়েল মাদবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগুনমুখা নদীর মাঝখান থেকে জুয়েলকে একটি প্লাস্টিকের বালতি ধরে ভাসতে দেখে নৌকায় তোলে। পরে ৫টার দিকে পানপট্টি ঘাটে জুয়েলকে আনা হয়। বর্তমানে ছেলেটি ইউপি সদস্য জুবায়ের খানের হেফাজতে রয়েছে।

লঞ্চের সুপারভাইজার কামরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা বুঝতে পেরে আমরা অনেক চেষ্টা করে‌ছি লঞ্চ‌টি ঘু‌রিয়ে জুয়েলকে উদ্ধার কর‌তে। তবে আগুনমুখা নদীতে স্রো‌ত ছিল অনেক বেশি। এ সময় স্রো‌তের কারণেই উল্টাপ‌থে লঞ্চ‌টি‌কে ঘু‌রি‌য়ে নেয়া সম্ভব হয়‌নি।

এমভি জাহিদ-৩ লঞ্চের স্টাফ শিপন জানান, রোববার দুপুর ২টায় ঢাকার উদ্দেশে রাঙ্গাবালীর কোরালিয়া ঘাট ত্যাগ করে তাদের লঞ্চটি। পরে লঞ্চটি কিছু সময় যাওয়ার পর বাবুর্চির সহকারী জুয়েল লঞ্চের পেছনে গোসল করছিল। এ সময় বালতি দিয়ে নদী থেকে পানি ওঠানোর সময় নদীতে পড়ে যায় জুয়েল। এ ঘটনাটি টের পেতে পেতে লঞ্চ অনেকদূর এগিয়ে যায়। পরে মোবাইল ফোনে নিশ্চিত হয়েছি শিশুটিকে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করেছেন।

এ বিষয়ে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান,  উদ্ধারকৃত শিশুটি বর্তমানে একই এলাকার ইউপি সদস্যের হেফাজতে রয়েছে। শিশুটি পড়ে যাওয়ার পরও লঞ্চটি কেন চালিয়ে গেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন নদীতে | পড়ে | যাওয়া | শিশু | ২ | ঘণ্টা | | উদ্ধার