পঞ্চগড়ে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে (৫০) ধর্ষণের অভিযোগে মোজাম্মেল হক (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
শনিবার (১১মে) দিবাগত রাতে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল চত্বর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। পরে ধর্ষণের শিকার ওই নারীর চিৎকারে আশপাশে থাকা এ্যাম্বুলেন্স চালকেরা এগিয়ে গিয়ে মোজাম্মেল হক নামের ওই ব্যাক্তিকে আটক করে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এদিকে রোববার (১২ মে) বিকেলে এ ঘটনায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের সেচ্ছাসেবী কর্মী খোকন বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে বিকেলেই অভিযুক্ত মোজাম্মেলকে আদালতে তোলা হলে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন আদালত। ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মোজাম্মেল হকের বাড়ি নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার দক্ষিণ আমবাড়ি এলাকায়। তিনি ওই এলাকার আফসার আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নারী তার পরিচয় বলতে পারছে না। একটি দুর্ঘটনায় তার পা ভেঙে গেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করায় কিছু স্বেচ্ছাসেবী। প্রায় দেড় মাস ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ভর্তি থাকলেও কখনো হাসপাতালের বারান্দায় আবার কখনো হাসপাতাল চত্বরে ওই নারীকে দেখা যেত। পরে শনিবার (১১ মে) দিবাগত রাত ৩ টায় হাসপাতালের সামনের এ্যাম্বুলেন্স শেডের পাশে ওই নারী শুয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। সুযোগ বুঝে মোজাম্মেল হক তাকে জোর করে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারীর চিৎকারে আশপাশে থাকা এ্যাম্বুলেন্স চালকরা এসে তাকে হাতেনাতে আটক করে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ধর্ষণে অভিযুক্ত মোজাম্মেল গেলো শুক্রবার (১০ মে) শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রঞ্জু আহম্মেদ বলেন, একজন মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে আমরা মোজাম্মেল হক নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছি। থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ওই নারীকে হাসপাতালেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ চলছে।
কেএস/