জাতীয়

দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ খুলনার কাছে, বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি

দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ খুলনার কাছে, বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিণ্ন জেলায় দমকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাত শুরু হচ্ছে।  এ বৃষ্টিপাত সোমবার সারাদিন থাকতে পারে। এক পূর্বাভাসে এমনই তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় স্থান থেকে ঝোড়ো বাতাস ও বর্ষণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, অবিরাম বৃষ্টি ঝরিয়ে সোমবার সকালে দূর্বল হবে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তবে এর প্রভাবে রোববার রাত থেকে দেশের বেশিরভাগ এলাকায় ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার(২৭ মে) সারা দেশেই বৃষ্টি হবে। এমনকি মঙ্গলবারও বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে তিনি প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান। সাধারণত বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড়ই উপকূল অতিক্রম করার কিছুক্ষণ পরই নিম্নচাপে পরিণত হয়। এবারই সেই নিয়ম না মেনে ঘূর্ণিঝড় আকারে দেশের ভেতরের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’। বর্তমানে কয়রা, খুলনার কাছে অবস্থান করছে। আবহাওয়া অধিদফতরের সম্ভাব্য গতিপথ অনুযায়ী এটি ঢাকা হয়ে সিলেটের দিকে চলে যাওয়ার কথা। এর আগে, রেববার রাত ৯টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ দেশের উপকূলীয় অঞ্চল  অতিক্রম শুরু করে। এর তাণ্ডবে উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি পড়ছে। বাদ যায়নি রাজধানীও। রোববার মধ্যরাত থেকে থেমে  এখনও বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানীতে। সঙ্গে বইছে দমকা বাতাসও। সোমবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘রেমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে বর্তমানে কয়রা, খুলনার নিকট অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত বাড়িয়ে পরবর্তী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে কিছুটা দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বল হয়, এ সময় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। এছাড়া কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বিজ্ঞপ্তিতে বলঅ হয়েছে। এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন দুর্বল | হয়ে | ঘূর্ণিঝড় | রেমাল | খুলনার | কাছে | বিভিন্ন | জেলায় | বৃষ্টি