ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিয়েবাড়ির গেটের ডিজাইনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা থেকে দফায় দফায় উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দৌলতপুর ও সীতারামপুর গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে।
কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন জানান, গেলো সোমবার ইউনিয়নের সীতারামপুর গ্রামের রিয়াজুদ্দিন গোষ্ঠীর রাজুর বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছিলো। সেখানে ডেকোরেশনের কাজ করেন দৌলতপুর গ্রামের হাসান আলী বাড়ির এক ছেলে। ডেকোরেশনের গেইটের ডিজাইনের কাজ পছন্দ হয়নি বিয়ে বাড়ির লোকজনের। এ নিয়ে দৌলতপুরের ডেকোরেশনের ছেলেটির সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি মীমাংসা করতে গেলো মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের এক জায়গায় উভয় পক্ষকে নিয়ে শালিস সভায় বসা হয়। সেখানে আমিও ছিলাম। এরই মাঝে সন্ধ্যার পর খবর আসে একদিন আগে ঘটে যাওয়া বিয়ে বাড়ির গেইটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দৌলতপুর ও সীতারামপুর গ্রামের দুই যুবক তর্কবিতর্ক থেকে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পাশাপাশি অনেক দোকানপাট ভাংচুর করা হয়েছে। পরে পুলিশ প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশিদ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে।
মির্জা রুমন
