ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় তিন পর্যায়ের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব শুক্রবার (৩১ মে) পেশ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, এ যুদ্ধ বন্ধের সময় এসেছে। আর এ প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিবাচক প্রাথমিক সাড়া দিয়েছে গাজার শাসক দল হামাস।
শনিবার (১ জুন) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাইডেনের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি থাকবে, যে সময়ের মধ্যে গাজার জনবহুল সব এলাকা ছাড়বেন ইসরায়েলি সেনারা।
যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি থাকা কয়েক’শ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিনিময়ে বয়স্ক ও নারীসহ কিছু ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে। এ সময়ে গাজায় নিজেদের বাড়িঘরে ফিরতে পারবেন ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোকজন। একই সঙ্গে বিরান হয়ে যাওয়া উপত্যকায় দিনে পৌঁছাবে ৬০০ ট্রাক খাদ্য সহায়তা।
এ পর্যায়ে হামাস ও ইসরায়েল স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে সমঝোতা আলোচনা করবে। বাইডেনের ভাষ্য, যুদ্ধবিরতি ততক্ষণ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে, যতক্ষণ হামাস তার প্রতিশ্রুতিতে অটল থাকে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, হামাস ও ইসরায়েলের সমঝোতা আলোচনায় ছয় মাসের বেশি সময় গড়ালে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়বে।
বাইডেনের ভাষ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় পর্যায়ে পুরুষ সেনাসহ জীবিত ইসরায়েলি সব বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। এর বিপরীতে গাজা ছেড়ে চলে যাবেন ইসরায়েলি সেনারা। এ পর্যায়ে শুরু হবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি।
তৃতীয় পর্যায়ে গাজায় বড় ধরনের পুনর্গঠন হবে এবং উপত্যকায় থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের ‘অবশিষ্ট অংশ’ তাদের পরিবারের কাছে পাঠানো হবে।
বাইডেনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে কাতার থেকে দেয়া বিবৃতিতে হামাস বলেছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে যেকোনো প্রস্তাবে ইতিবাচক এবং গঠনমূলকভাবে যুক্ত হতে প্রস্তুত দলটি।
টিআর/