বিশ্বকাপের শুরুটা জয় দিয়েই শুরু করলো বাংলাদেশ। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ১২৪ রানের মধ্যেই আটকে দেয় টাইগাররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়ের কল্যাণে ভালো ভিত তৈরি হলেও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটিংয়ে চাপ এড়ানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দায়িত্বশীল জায়গা বাংলাদেশ দলকে ২ উইকেটের জয় এনে দিয়েছে।
বিশ্বকাপের শুরুটা জয় দিয়েই শুরু করলো বাংলাদেশ। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ১২৪ রানের মধ্যেই আটকে দেয় টাইগাররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়ের কল্যাণে ভালো ভিত তৈরি হলেও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটিংয়ে চাপ এড়ানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দায়িত্বশীল জায়গা বাংলাদেশ দলকে ২ উইকেটের জয় এনে দিয়েছে।
ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে ভালো শুরু না হলেও, পাথুম নিশাঙ্কা একদিক সামলে খেলতে থাকেন। বাংলাদেশি বোলারদের বল মাঠের সীমানা ছাড়িয়ে যেতে থাকে একের পর এক।
তিনে নামা কামিন্দু মেন্ডিসে টিকতে পারেননি। তবে নিশাঙ্কা ২৮ বলে ৪৭ রান করে ফিরেছেন। নিশাঙ্কা ফিরলে কিছুটা ধীর হয়ে যায় লঙ্কানদের ব্যাটিং। আর টাইগার বোলাররাও সেই সুযোগ কাজে লাগান। বিশেষ করে রিশাদ হোসেন পিচকে ব্যবহার করে সুবিধা আদায় করে নিতে সক্ষম হন। পাশাপাশি মোস্তাফিজুর রহমান নিজের দক্ষতার পরিচয় দেন আরও একবার।
পরের ব্যাটারদের মধ্যে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ২১, চারিথ আসালাঙ্কার ১৯ এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ১৬ রানই ছিল উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে, মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হাসান ৩ টি করে উইকেট নিয়েছেন।
অল্প রানের লক্ষ্যমাত্রা মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুটা একেবারেই ভালো করেনি তারা। দলীয় ৬ রানের মাথায় সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিম বিদায় নেন। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটেও ৭ রানের বেশি আসেনি।
তবে লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয় বেশ দায়িত্ব নিয়ে খেলতে থাকেন। প্রথমে হৃদয় দলীয় ৯১ এবং লিটন দলীয় ৯৯ রানে আউট হয়ে ফেরেন। যথাক্রমে ৩৬ ও ৪০ রান আসে তাদের ব্যাটে।
কিন্তু এই দুই ব্যাটার ফেরার পর আবারও ধস নামে বাংলাদেশের লাইনআপে। ১০৯ থেকে ১১৩ রানের মধ্যে ফেরেন সাকিব আল হাসান, রিশাদ হোসেন ও তাসকিন আহমেদ। নুয়ান থুশারার ডেলিভারিগুলো যেন কাবু করে ফেলছিল বাংলাদেশ দলকে।
শেষ পর্যন্ত একপ্রান্তে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটেই ভরসা খোঁজা হয়। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে দাসুন শানাকাকে হাঁকানো ছক্কায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচে যেন দল। আর বাকিটুকু পথ তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে আর কোনো বিপদ ছাড়াই পাড়ি দেন মাহমুদউল্লাহ। আর বাংলাদেশ হাসে বিজয়ের হাসি।