দেশজুড়ে

বিদ্যালয়ে ঢুকে ৪ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত

বিদ্যালয়ে ঢুকে ৪ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ছাত্রী জান্নাতী আকতার ফাতেমা(২১)নামের এই নারী হঠাৎ করে বিদ্যালয়ে ঢুকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটায়। আহতদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বিদ্যালয় চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে ভর্তি তিন শিক্ষার্থী হলেন, সেতু খাতুন , মিতু আক্তার ও রাবেয়া খাতুন। তারা তিনজনেই ওই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। এরমধ্যে ছুরির আঘাতে সেতুর বাম হাত, মিতুর পিঠ ও রাবেয়ার দুই পা ও মাথায় জখম হয়। সিমা আক্তার নামের আরেক আহতকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদিকে, এ ঘটনার পর স্থানীয়রা অভিযুক্ত জান্নাতি আক্তার ফাতেমাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। এই নারী সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের ফুল মিয়ার মেয়ে ও ইসবপুর গ্রামের আশিক মিয়ার স্ত্রী। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা জানান, প্রতিদিনের মতো বিদ্যালয়ে মেয়েদের ক্লাস চলছিলো। ক্লাস চলার ফাঁকে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের বারান্দায় বসে গল্প করছিলো। এসময় হঠাৎ করে জান্নাতি আক্তার বিদ্যালয়ে ঢুকে তার হাতে থাকা ধারালো একটি ছুরি দিয়ে শিক্ষার্থীদের আঘাত করে। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অন্য শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ওই নারীকে আটক করে। স্থানীয়রা কেউ কেউ ওই নারীকে মানুষিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করেছেন। এ বিষয়ে জামালপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রনজু মিয়া বলেন, জান্নাতি আক্তার আমার এলাকার সন্তান। সে একজন মানসিক রোগি। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। সে প্রায় দেড় বছর আগে বিয়ে করেন। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার কারণে জান্নাতি বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। জামালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনজারুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে জান্নাতি নামের মেয়েটি হঠাৎ করে প্রতিষ্ঠানে ঢুকে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করেছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম  বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এসময় তার কাছে একটি দেশীয় ধারালো একটি ছুরি (চাকু) উদ্ধার করা হয়। তবে কেন কি কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তা জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বিদ্যালয়ে | ঢুকে | ৪ | শিক্ষার্থীকে | ছুরিকাঘাত