মেকআপ আইটেমে ফেইস পাউডার থাকা মাস্ট, তা যতই হালকা মেকআপ করি না কেন। তবে ফেইস পাউডার যদি স্কিনে ঠিকমত না সেট হয়, তাহলে তা ভেসে ভেসে থাকে। এর ফলে পুরো মেকআপটাই দেখতে তখন বেমানান লাগে। আমরা ফেইস পাউডারের রকমভেদ ও এর সঠিক ব্যবহার নিয়ে কিন্তু অনেকেই জানি না। ফেইস পাউডার অনেক ধরণের হয়ে থাকে, তাই এগুলোর ব্যবহারও একেক রকম হয়ে থাকে। তাই আজকে জেনে নিবো, ফেইস পাউডারের রকমভেদ আর কোনটা আপনার জন্য পারফেক্ট সেই সম্পর্কে।
ফেইস পাউডার কত রকমের হয়?
কম্প্যাক্ট পাউডার
প্রেসড পাউডার
লুজ পাউডার
বিবি পাউডার
শিমার পাউডার
ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার
কোন পাউডার কীভাবে কাজ করে আর কোনটা আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই হবে, সেটা জেনে নেয়া যাক এবার।
কম্প্যাক্ট পাউডার
কম্প্যাক্ট পাউডার অ্যাপ্লাই করা মেকআপ স্টেপ এর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত একটি স্টেপ। এটা পাউডার ফর্মে থাকে যা খুবই লাইট ওয়েট হয়। এটা ফেইেস একটা লাইট কভারেজ দেয়। ফাউন্ডেশন সেট করতে কম্প্যাক্ট পাউডার ব্যবহার করা হয়। টাচআপ করার জন্যও কম্প্যাক্ট পাউডার খুব ভালো কাজ করে। কম্প্যাক্ট পাউডার স্কিনটোন এর কালারের সঙ্গে ম্যাচ করে ব্যবহার করতে হবে।
প্রেসড পাউডার
আমরা অনেকেই প্রেসড পাউডারকে কম্প্যাক্ট পাউডার এর মতই মনে করি। কিন্তু দুইটা এক রকম কাজ করে না। প্রেসড পাউডার অনেকক্ষেত্রে সেমি কভারেজ দেয়। অনেক সময় আমরা নরমাল একটা মেকআপ লুক করার জন্য ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে চাই না। তখন আমরা প্রেসড পাউডার দিয়েই একটা সেমি কভারেজ বেইস তৈরি করে নিতে পারি খুব সহজেই। তাছাড়া লিকুইড ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করার পর সেটা ভালোভাবে বসানোর জন্য এটি ইউজ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে প্রেসড পাউডার খুব ভালো ফিনিশিং দেয়।
বিবি পাউডার
বিবি পাউডার ফেইসে তৎক্ষণাৎ ইম্পারফেকশন দূর করে স্কিনটোন ইভেন করে আর পোর হাইড করে আপনাকে পারফেক্ট লুক দেয়। বিবি পাউডার স্কিনটোনের কালারের হয়ে থাকে। এই পাউডার স্কিনকে ইউভি রশ্মি (UV ray) থেকে প্রটেকশন দেয়। এটা লাইট ওয়েট হওয়াতে খুব স্মুথ, উজ্জ্বল এবং ন্যাচরালি ফ্ললেস একটা লুক ক্রিয়েট করতে সাহায্য করে।
শিমার পাউডার
স্কিনের হাইলাইটেড এরিয়াকে ফোকাস করার জন্য শিমার পাউডার ব্যবহার করা হয়। শিমার পাউডার ফেইসকে শাইনি ও হাইলাইটেড করতে হেল্প করে। এতে মেকআপ লুকটা গরজিয়াস দেখায়।
ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার
ট্রান্সলুসেন্ট পাউডারকে আমরা সেটিং পাউডার অথবা ফিনিশিং পাউডার হিসেবে বেশি চিনি। সেটিং পাউডার মেকআপ করার পর ফেইস থেকে অতিরিক্ত অয়েল শুষে নিয়ে ফাউন্ডেশনকে ঠিক জায়গায় রাখতে সাহায্য করে। এটার কোনো কালার নেই, আপনার স্কিনের নিজস্ব রঙটাই প্রকাশ পাবে। রেগুলার ইউজের জন্য বিবি ক্রিমের সাথে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার অনেকেই প্রিফার করেন।
লুজ পাউডার
লুজ পাউডারের কথা শুনলেই সবার প্রথমে বেকিং এর কথা মাথায় আসে। লুজ পাউডার দিয়ে আন্ডার আই, টি-জোন, কনট্যুর এরিয়া বেইক করা হয় । বেকিং এর কারনে ফেইস থেকে অতিরিক্ত অয়েল রিমুভ হয় এবং মেকআপ কেইকি হয়ে যায় না।
তাহলে দেখলেন তো, সবগুলো পাউডারেরই স্পেশাল কিছু কাজ রয়েছে। একেকটার কাজ যেমন একেক রকম, ঠিক তেমনি এর ব্যবহারটাও আলাদা হয়ে থাকে। তাই ভালোমতো পাউডারগুলো ব্যবহার করতে পারলে মেকআপ হবে ফ্ললেস, স্মুথ এবং লং লাস্টিং।
কেএস/