পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিধ্বংসী আকস্মিক বন্যায় দেশটির এক-তৃতীয়াংশ এই সম্পূর্ণভাবে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে রাস্তা, বাড়িঘর এবং ফসল। বন্যায় এখন পর্যন্ত মারা গেছে এক হাজার ১৩৬ জন মানুষ। জানিয়েছেন দেশটির জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রী শেরি রেহমান।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসির দেয়া এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
শেরি রেহমান বলেন, এটি একটি বিশাল সমুদ্র। পানি সরে যাওয়ার মতো কোনো শুষ্ক জায়গা নেই। এ অবস্থাকে 'অকল্পনীয় পর্যায়ের সংকট' বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
কর্মকর্তাদের মতে, জুনে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে এক হাজার ১৩৬ জন মারা গেছে।
এক দশকের মধ্যে এ বছর সবচেয়ে ভারী বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে এবং এর জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছে সরকার।
শেরি রেহমান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আক্ষরিক অর্থে পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এই মুহূর্তে পানির নিচে। আমাদের অতীতের প্রতিটি সীমা, প্রতিটি রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এবারের বন্যা। আমরা আগে এমন কিছু দেখিনি।
সোমবার কর্মকর্তারা জানান, বন্যায় শুধু গেলো ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ জন মারা গেছে। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি বিবিসিকে বলেন, নিহতদের এক-তৃতীয়াংশ শিশু বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছি।
তিন কোটি ৩০ লাখের বেশি পাকিস্তানি, সাতজনের মধ্যে একজন; ঐতিহাসিক এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
টিআর
