সম্প্রতি সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে এক তরুণীকে বেসরকারি খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের তিনজন কর্মী মিলে গণধর্ষণের ঘটনায় রেলওয়ের যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। একই সঙ্গে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গেলো ১৫ বছরে রেলে লাখ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে, নতুন নতুন রেলপথ, রেলস্টেশন হচ্ছে, ইঞ্জিন ও কোচ আমদানি করে নতুন রেল চালু করা হচ্ছে। রেলে যাত্রী নিরাপত্তায় রেল পুলিশের (জিআরপি) পাশাপাশি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) সদস্য বৃদ্ধি হচ্ছে। কিন্তু যাত্রীসেবা ও যাত্রী নিরাপত্তা কোথায় তা নতুন করে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। রাষ্ট্রের তথা যাত্রীদের টাকায় জিআরপি ও আরএনবি নামে দুটি বাহিনী পোষার পরেও চলন্ত ট্রেনে একজন তরুণী যাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা প্রমাণ করে যে, এসব বাহিনী যাত্রী নিরাপত্তায় কতটুকু দায়িত্বহীন ও উদাসীন। দায়িত্ব পালনে গাফিলতির জন্য কোনো প্রকার জবাবদিহি না থাকায় যাত্রীরা চলন্ত ট্রেনেও নিরাপদ নন।
অধিকাংশ সময়ে বিভিন্ন ট্রেনে চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। রাতের বেলায় কোথাও কোথাও যাত্রীদের ডাকাতিরও ঘটনা ঘটছে। কোথাও কোথাও যাত্রীদের গলা কেটে বা ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়ার ঘটনাও বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে আসছে। চলন্ত ট্রেনে রেলে যাত্রী নিরাপত্তা ও যাত্রীসেবায় নিয়োজিত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সবাই মিলেমিশে টিকিটবিহীন যাত্রীদের থেকে টাকা কামানোর ধান্দায় ব্যস্ত থাকে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রেলে কর্মরত বেসরকারি খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস এ কর্পোরেশনের তিন কর্মী এক তরুণী যাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হচ্ছে। রেলে কর্মরত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের গায়ে প্রতিষ্ঠানের নাম ও লেগো সম্বলিত পোশাক পরে দায়িত্ব পালন করা, প্রত্যেক কর্মীর পোশাকের ওপর নেইম প্লেট থাকা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানানো হচ্ছে। একই সঙ্গে রেলে যাত্রী নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে জোর দাবি জানানো হচ্ছে।