গ্রীষ্মকালে রোদ থেকে বাঁচার জন্য আমরা কত কিছুই না করি কিন্তু শেষ রক্ষা বুঝি আর হয় না। রোদ আর গরম দুটো মিলে আমাদের ত্বকের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। আমাদের ত্বকের উপরের স্তর খুবই পাতলা এবং সংবেদনশীল তাই রোদ থেকে বাঁচুন কিছু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে। চলুন জেনে নেয়া যাক রোদ থেকে বাঁচার উপায়।
রোদের ক্ষতিকর দিকগুলো কী কী?
রোদে পুড়লে শুধুই কি গায়ের রঙ কালো হয়ে যায়? যদিও এই এক চিন্তাতেই আমাদের জীবনে সূর্যের ঝলমলে আলোতেও অন্ধকার নেমে আসে। ত্বক কালো হওয়া ছাড়াও সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির কারণে আমাদের মারাত্নক ক্ষতি হতে পারে। সেগুলো হলো-
১. প্রতিনিয়ত রোদে পুড়লে ত্বকের উপর কালো কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়।
২. ত্বকের উজ্জ্বল ভাব নষ্ট হয়ে যায়।
৩. চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে।
৪. এছাড়াও রোদের কারণে আমাদের ত্বকে নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দিতে পারে।
৫. এমনকি গবেষণায় দেখা গেছে, সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি স্কিন ক্যান্সার-এর জন্যও দায়ী।
কী করবেন?
সানস্ক্রিন আপনার ত্বকের রঙের সুরক্ষাতো করেই, সেইসঙ্গে স্কিন ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের সুরক্ষা কবজ হিসেবেও আপনাকে রক্ষা করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় মাত্র ২০ শতাংশ লোক প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন। কিন্তু তবুও অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন কখন, কিভাবে, কেমন সানস্ক্রিন লাগাতে হয়?
কখন, কিভাবে, কেমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন?
ঘর থেকে বের হবার আগে সানস্ক্রিন বা সান ব্লক লোশন লাগিয়ে বের হলে এসব সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারেন। রোদের বেগুণী রশ্মির ফলে পাঁচ ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে। আর সেগুলো থেকে সানস্ক্রিন আমাদের সুরক্ষা দেয়। বাসা থেকে বের হবার ঠিক আগেই সানস্ক্রিন লাগালে কিন্তু হবে না। বাহিরে বের হবার কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগান। রোদ থাকুক আর নাই থাকুক প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
প্রতিবার বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে সানস্ক্রিন বা লোশন ব্যবহার করবেন। সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন কেনার আগে অবশ্যই এসপিএফ-এর মাত্রা দেখে কিনবেন। আমাদের দেশের আবহাওয়ার জন্য এসপিএফ ৩০-৫০ এর সানস্ক্রিন বা লোশন ব্যবহার করা উচিত। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সানস্ক্রিনের সান প্রোটেকশন ট্রিকস আপনার ত্বকের সুরক্ষা দিতে শুরু করে। আর অবশ্যই, আপনার ত্বকের ধরন অর্থাৎ আপনার ত্বক তৈলাক্ত নাকি শুষ্ক, তেমন বুঝে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
১. টমেটো পিউরি
টমেটো এখন সবার বাসাতেই থাকে। একটি টমেটো নিয়ে পিউরি করে তার সঙ্গে হালকা মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহ ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন নিজের ত্বকের পার্থক্য।
২. বরফ ঘষা
রোদের হাত থেকে বাঁচতে ঘরে ফিরেই মুখে বরফের টুকরা ঘষুন। এতে রোদে পোড়া ভাব কমবে।
৩. অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা জেল লাগালেও রোদেপোড়া ত্বকের উপকার হবে। আপনি বাজার থেকে কেনা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন আবার অ্যালোভেরা পাতা থেকেও জেল বের করে ব্যবহার করতে পারেন।
৪. শসার রস
শসার রস করে তা তুলার সাহায্যে ত্বকে লাগান। চাইলে এতে অল্প লেবু্র রস মেশাতে পারেন। রোদে পোড়া ভাব দূর হয়ে ত্বক ফিরে পাবে নতুন সজীবতা।
কেএস/