পঞ্চগড়ে যমুনা নদী দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভেসে আসা এক ভারতীয় কিশোরের (১৪) মরদেহ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের মেইন পিলার ৭৬১ এর ৩৪ নম্বর সাব পিলার এলাকায় পতাকা বৈঠক হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরের মরদেহ বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে।
পতাকা বৈঠকে বিজিবি ও বিএসএফের ক্যাম্প কমান্ডার পর্যায়ের কর্মকর্তারাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের উত্তর খালপাড়া এলাকায় ওই কিশোরের মরদেহ ভেসে আসে। পরে স্থানীয়রা মরদেহ উদ্ধার করে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের মেইন পিলার ৭৬১ এর ৩৪ নম্বর সাব পিলারের পাশে জিরো লাইনে মরদেহ রেখে দিয়ে বিজিবিকে খবর দেয়।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল ভারতের একটি মাইকিং শোনা যায়। সেখানে বলা হয়, একটি বাচ্চা পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়েছে। তার সন্ধানে রয়েছে তারা। পরে মঙ্গলবার ভারত বাংলাদেশের সীমান্তের যমুনা নদীতে ওই ভারতীয় কিশোরের মরদেহ ভাসতে দেখে বাংলাদেশের স্থানীয়রা। পরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
লতিফুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, গতকাল ভারতের একটি মাইকিং শুনি যে নদীতে কতগুলো বাচ্চা গোসল করতে নেমেছে। এরমধ্যে একটা বাচ্চা নাকি নিখোঁজ হয়েছিল। বাংলাদেশ সীমান্তে তার মরদেহ পাওয়া গেছে। মরদেহটি উদ্ধার করে সীমান্তে রাখার পর বিজিবিকে খবর দেই। পরে তারা পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহটি ভারতের বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে।
জয়ধরভাঙ্গা বিওপির জুনিয়র কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। পরে ওই কিশোরের লাশ বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়।