দেশজুড়ে

কুড়িগ্রামে বন্যায় পানিবন্দী ৫০ হাজার মানুষ

কুড়িগ্রামে বন্যায় পানিবন্দী ৫০ হাজার মানুষ
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে সাময়িক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টায় চিলমারী পয়েন্টে ২৬ ও নুনখাওয়া পয়েন্টে এই নদের পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে এর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কয়েকটি উপজেলার ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতির ফলে গেলো তিনদিন ধরে ঘরের ভিতর মাচা ও চৌকি উঁচু করে আশ্রয় নিয়েছে বানভাসি মানুষ। চৌকিতে রান্না-বান্না, চৌকিতেই রাত কাটছে তাদের। বাড়ির চারপাশে থৈথৈ পানিতে অসহায় দিন কাটছে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী মানুষের। উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডোবা গ্রামের আসমত ও নুরবানু জানান, গেলো তিনদিন ধরে পানিবন্দী অবস্থায় আছি। ছেলে মেয়েকে উঁচু জায়গায় রেখে গরু-ছাগল পাহারা দিচ্ছি। এখনো কেউ খোঁজখবর নিতে আসেনি। একই ইউনিয়নের ফকিরের চর গ্রামের রমিচন জানান, ঘরে পানি। রান্না করতে সমস্যা হচ্ছে। গরুকেও কিছু খাইতে দিতে পারছি না। বাচ্চারা কান্নাকাটি করছে। একই গ্রামের ফরিদা জানান, চারটে ভাত ফুটাচ্ছি। তরকারি নাই। লবন দিয়া খাইতে হইবো। যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল গফুর জানান, আমার ইউনিয়নে ১৫শ' মানুষের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। এছাড়াও ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে। বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল হামিদ শেখ জানান, আমার ওয়ার্ডে দেড়শ ঘরে পানি উঠেছে। এছাড়াও এই ইউনিয়নে প্রায় ৮শ' পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছে। ফকিরের চরে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৮০টি পরিবার আশ্রয় নিলেও তারা পর্যাপ্ত খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছেন। এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতাউর রহমান জানান, আমি বিষয়টি জানলাম। এখনেই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে লোকজনকে পাঠাচ্ছি সমাধানের লক্ষে। এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ জানান, বন্যা কবলিত কুড়িগ্রাম সদর, চিলমারী, উলিপুর ও নাগেশ্বরীতে খোঁজখবর নেয়ার পাশাপাশি ইতিমধ্যে দুর্গত এক হাজার পরিবারকে ত্রান ও ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে।   এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কুড়িগ্রামে | বন্যায় | পানিবন্দী | ৫০ | হাজার | মানুষ