মিয়ানমারের মংডু শহরে ফেরার সময় নাফ নদীর ওপারে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের বহনকারী একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এতে বিজিপির এক সদস্য সাঁতরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের তীরে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এ সময় তার সঙ্গে কিছু গোলাবারুদ ছিল। বিজিবি সদস্যরা গোলাবারুদসহ তাকে হেফাজতে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবির একটি সূত্র জানিয়েছেন, মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে ট্রলারটি মংডু শহরের দিকে যাচ্ছিল। আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সেটি ডুবে যায়। এ সময় সাঁতার কেটে কিছু গোলাবরুদ নিয়ে বিজিপির এক সদস্য শাহপরীর দ্বীপের তীরে ওঠে। পরে অস্ত্রসহ বিজিবি তাকে হেফাজতে নেয়।
জানা গেছে, ট্রলারটিতে বিজিপির পাঁচজন সদস্য ছিলেন। তাৎক্ষণিক অপর চারজনের খবর জানাতে পারেননি তিনি।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মিয়ানমারের বিজিপির ওই সদস্যকে সকাল ৯টার দিকে বিজিবির গাড়িতে করে টেকনাফের দিকে নিয়ে যেতে দেখেছেন তারা। এ সময় আশেপাশে কোনো লোকজনকে ভিড়তে দেয়নি বিজিবি সদস্যরা।
এদিকে, শুক্রবার রাতে মিয়ানমারের ওপার শান্ত থাকলেও শনিবার সকাল থেকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন সীমান্ত এলাকার লোকজন।
বাসিন্দারা বলেন, গতকাল শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মংডু শহরের আশপাশ থেকে ভারী গোলাবর্ষণের শব্দ পাওয়া যায়। রাতভর শান্ত থাকলেও শনিবার সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে সীমান্ত এলাকা।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের ওপারে কখনও শান্ত আবার কখনও থেকে থেমে থেমে বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর রাতভর শান্ত ছিল। শনিবার সকাল থেকে আবারও শোনা যাচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত হতে বিজিবির টেকনাফস্থ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. উদ্দিন আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এএম/