চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীদের বই খুলে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগে দায়িত্বরত দুই কেন্দ্র সচিবসহ পাঁচজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহারকৃত দুই সচিব হলেন ওই কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল বাশার ও নিন্দুপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রত্যাহার করেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এহসান মুরাদ।
জানা যায়, একই অভিযোগে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার সোহেল রানাসহ দায়িত্বরত দুই শিক্ষককেও প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর আগে কেন্দ্র সচিবদের প্রত্যাহারের জন্য কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডকে চিঠি দেন কচুয়া উপজেলার ইউএনও।
স্থানীয়রা জানান, ২০২৪ সালের এইচএসসির বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার দিন কচুয়ার নিন্দুপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের তৃতীয় তলার ১০৭ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থীরা কেউ বই খুলে, কেউবা বাহির থেকে উত্তরপত্র সংগ্রহ করে, আবার কেউ একজন অন্যজনের খাতা দেখে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। এ বিষয়টি ওই কেন্দ্রের কেউ একজন গোপনে ভিডিও করে বাহিরে প্রচার করে। বিষয়টি তখন প্রশাসনের নজরে আসে।
এছাড়া ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি ট্যাগ অফিসার ও কচুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল রানার উপস্থিতিতে, প্রতিদিনই এভাবে বই দেখে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
স্থানীয়রা আরও জানান, প্রতিদিন এই সুযোগ পেতে কেন্দ্র সচিব ও ট্যাগ অফিসারকে মোটা অঙ্কের টাকা প্রদান করা হতো। বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ক্ষোভও প্রকাশ করেন।
ইউএনও এহসান মুরাদ বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকেও একটি তদন্ত টিম আসবে।
জেড/এস