টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের একেবারে শেষ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার বোলিং মন জয় করে নিয়েছে তাঁর সমালোচকদেরও। কিন্তু তাঁর পারিবারিক অশান্তি কি মিটেছে? ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী নাতাশা স্ট্যাঙ্কোভিচের সঙ্গে টানাপড়েন যেন থামছেই না এই ক্রিকেটারের।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারকা দম্পতির এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানিয়েছেন, হয়তো নাতাশা-হার্দিকের সম্পর্কের ফাটল মেরামত হওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। সেক্ষেত্রে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেশের জয় কোনো বিশেষ ভূমিকা নিতে পারছে না। ওই বন্ধু জানিয়েছেন, ‘সম্পর্ক সম্ভবত শেষ।’
তাঁর দাবি, নাতাশা এবং হার্দিক তাদের মান-অভিমানের পালা মিটিয়ে একত্রিত হওয়ার মতো অবস্থায় নেই। ফলে এটা স্পষ্ট যে, হার্দিক ও তার স্ত্রী নিজেদের সম্পর্ক শুধরে নিতে রাজি নন। সামাজিকমাধ্যমে তাদের বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে বেশ কিছুদিন আগে। ইতিমধ্যেই হার্দিক ও নাতাশা তাদের সামাজিকমাধ্যম থেকে একে অপরের সমস্ত ছবি মুছে দিয়েছেন। বিশ্বকাপ জয়ের পর হার্দিকের উদ্দেশে একটি শুভেচ্ছাবার্তাও জানাননি নাতাশা।
অন্যদিকে, বিশ্বকাপ জয়ের পর ফোনে কাঁদতে দেখা গিয়েছে হার্দিককে। তখন অনুমান করা হয়েছিল, স্ত্রীর সঙ্গেই আনন্দাশ্রু ভাগ করে নিচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটার। কিন্তু ঘনিষ্ঠ মহল থেকে যে ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে তাতে এই সম্ভাবনা ক্ষীণ হচ্ছে। দম্পতির ওই বন্ধু অবশ্য শেষ পর্যন্ত বলেছেন, ‘কেউ জানে না ভবিষ্যতে কী ঘটবে। কিন্তু বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে হার্দিক এবং নাতাশার সম্পর্ক ঠিক হওয়ার আশা নেই। সম্ভবত, এটা শেষ হয়ে গিয়েছে।’
২০২০ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন নাতাশা এবং হার্দিক, ২০২৩ সালে রাজস্থানের উদয়পুরে বিয়ের জমকালো অনুষ্ঠান হয়েছিল। হিন্দু এবং খ্রিস্টান মতে বিয়ে করেছিলেন এই দম্পতি।
এসআই/