সীমান্ত রেখা থেকে দেশের অভ্যান্তরে ১০ মাইল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সম্পত্তি ঘোষণা করা, ৮ কিলোমিটার জমি সম্পূর্ণ ফাঁকা ও সমান রাখাসহ সংসদকে ৪ পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা কার্যকরভাবে রক্ষায়, আন্তঃরাষ্ট্র সীমান্ত অপরাধ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা এবং জাতীয় রাজস্ব আয় ফাঁকি প্রতিরোধ করতে এ সুপারিশ করা হয়।
শনিবার (১৩ জুলাই) ১৯৮৭ সালের ভারতীয় শাড়ি জব্দের এক মামলার রায়ে এ পরামর্শ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
আদালত রায়ে বলেছেন, মহান জাতীয় সংসদকে নিম্ন বর্ণিত পরামর্শসমূহকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।
১. সীমান্ত রেখা থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১০ মাইল পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সম্পত্তি ঘোষণা করা।
২. উক্ত ঘোষণার ফলে ক্ষতিগ্রন্থ সব ব্যক্তিগত সম্পত্তির মালিকদের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতঃ সমমূল্যের সরকারি খাস সম্পত্তি হতে তাদের বরাদ্দ প্রদান।
৩. সীমান্ত লাইন থেকে ৮ কিলোমিটার ভূমি সম্পূর্ণ ফাঁকা এবং সমান থাকবে। যেন এই ৮ কিলোমিটার প্রতিটি ইঞ্চি ৮ কিলোমিটার দূর থেকে পরিস্কার দেখা যায়।
৪. সীমান্ত রেখা থেকে ৮-১০ কিলোমিটার মধ্যবর্তী স্থান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের যাবতীয় স্থাপনা, প্রশিক্ষণসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ডের জন্য সংরক্ষিত রাখা।
এই রায় ও আদেশের অনুলিপি অধস্তন আদালতের সকল বিচারককে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রেজিষ্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
একই সঙ্গে রায় ও আদেশের অনুলিপি মহা-পরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ প্রদান করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রায় ও আদেশের অনুলিপি সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রেজিষ্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সালে চোরাচালানবিরোধী অভিযানে যশোর সীমান্তে ভারতীয় শাড়ি উদ্ধারের ঘটনায় বিজিবির দায়ের করা মামলায় আসামি জাকির হোসেনকে তিন বছরের সাজা থেকে খালাসের রায়ে এ পরামর্শ দেয় হাইকোর্ট।
আই/এ