অলিম্পিকের শুরুটা হলো ফুটবল দিয়ে। উদ্বোধনী ম্যাচে আর্জেন্টিনা খেলেছে মরক্কোর বিপক্ষে। এই ম্যাচে দেখা গেল নানা নাটকীয়তা। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে হাভিয়ের মাশচেরানোর শীর্ষদের। এই ম্যাচ ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লিওনেল মেসি।
আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থার (ফিফা) কাছে অভিযোগ জানিয়েছে আর্জেন্টিনা। কোচ মাশচেরানো জানিয়েছেন, তিনি তার জীবনে এত বড় সার্কাস দেখেননি। তবে কী এমন হয়েছিল এই ম্যাচে?
নির্ধারিত নব্বই মিনিটে ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। ততক্ষণে বোঝা যাচ্ছিল ম্যাচটি হেরে যাচ্ছে আকাশী-নীল দল। এরমধ্যে ১৫ মিনিট ঠিক করা হয় যোগ করা সময়। সাধারণত এত বেশি যোগ করা সময় দেখা যায় না। দেখা যায়, ১৬ মিনিটের মাথায় গিয়ে একটি গোল করে আর্জেন্টিনার ক্রিস্তিয়ান মেদিনা।
এই গোলের পর ২-২ গোলে ম্যাচটি ড্র হয় বলে মনে হয়েছিল। ঠিক তখনই দর্শকেরা মাঠে প্লাস্টিকের কাপ, বোতল ইত্যাদি ছুড়তে থাকেন। আর মরক্কোর সমর্থকরা মাঠেও ঢুকে পড়েন। এই পর্যায়ে গিয়ে ম্যাচটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় রেফারি।
জানা যায়, দুই দলের অধিনায়ক আর চাননি দল নিয়ে আবার মাঠে ফিরতে। কিন্তু প্রায় দুই ঘণ্টা পর দুই দল মাঠে ফেরে। আর ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারি (ভিএআর) আর্জেন্টিনার সেই গোলটি বাতিল করে অফসাইডের কারণ দেখিয়ে। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মরক্কোর ফুটবলাররা।
এমন এক ম্যাচের পর বিস্ময় এসেছে আর্জেন্টিনা শিবির থেকে। সাধারণত অনূর্ধ্ব-২৩ দলের খেলোয়াড়েরা অলিম্পিকে খেলে থাকেন। শুধু ৩ জন খেলোয়াড় এর বাইরে খেলতে পারেন। মরক্কোর কাছে এমন এক ম্যাচে হারের পর; মেসি, রদ্রিগো দি পল, তাগলিয়াফিকোরা ক্ষোভ দেখিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এই ম্যাচের পর ফিফার কাছে অভিযোগ জানিয়েছে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া বলেন, 'এমন ঘটনা টুর্নামেন্টের নিয়মের বরখেলাপ।'
এম এইচ//